নয়াদিল্লি: করোনা সুনামিতে বিধ্বস্ত গোটা দেশ। রোজই রেকর্ড হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে ঘাবড়ে না গিয়ে করোনাকে রুখতে সঠিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তাররা। চিকিৎসকদের মতে, করোনা অতিমারীতে আতঙ্কিত না হয়ে বাড়িতেই কিছু পদ্ধতি মানলে এই মারণ ভাইরাসের হাত থেকে সহজেই বাঁচতে পারবেন।
এমসের ডিরেক্টর ডা. রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, ‘বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে সাধারণের মধ্যে আতঙ্ক তৈরী হয়েছে। আতঙ্কের জেরে বাড়িতে রেমডেসিভির ইঞ্জেকশন রাখছেন, অক্সিজেন সিলিন্ডার রাখছেন। যার জেরে অক্সিজেনের সরবরাহ কম হচ্ছে। অহেতুক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ স্বাভাবিক। ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ মানুষেরই স্বাভাবিক উপসর্গ ধরা পড়ছে। যেমন জ্বর, সর্দি-কাশি, গা-হাত-পা ব্যথা। এসব ক্ষেত্রে রেমডেসিভিরের প্রয়োজন নেই।’
ডা. রণদীপ গুলেরিয়ার দাবি যোগাসন ও বাড়িতে থেকে কয়েকটি ওষুধ খেলেই সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন করোনা রোগী। করোনা আক্রান্ত হওয়ার ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন যে কোনও রোগী। ফলে এসব ক্ষেত্রে রেমডেসিভির বা অক্সিজেনের প্রয়োজন নেই। তার কথা অনুযায়ী, ১০-১৫ শতাংশ আক্রান্তের শরীরে ভাইরাস গুরুতরভাবে থাবা বসায়, সেক্ষেত্রে রেমডেসিভির বা অক্সিজেনের প্রয়োজন হতে পারে। তাঁর পরামর্শ, করোনা আক্রান্ত হলেই হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে, এমন কোনও মানে নেই।
দিল্লির মেদান্ত হাসপাতালের এক প্রবীণ চিকিৎসক জানিয়েছেন, ৯০ শতাংশ করোনা আক্রান্ত বাড়িতেই সেরে উঠতে পারেন, যদি তাঁরা সময় মতো সঠিক ওষুধ খান। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,’RT-PCR পরীক্ষায় যখনই রিপোর্ট পজিটিভ আসবে, তৎক্ষণাৎ স্থানীয় চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।
প্রসঙ্গত, গত একদিনে করোনা ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে ৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৯৯১ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৭৩ লক্ষ ১৩ হাজার ১৬৩ জন। করোনার বলি হয়েছে ২ হাজার ৮১২জন। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ কোটি ৪৩ লক্ষ ৪ হাজার ৩৮২ জন। সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ লক্ষ ১৩ হাজার ৬৫৮ জন। এখনো পর্যন্ত ১৪ কোটি ১৯ লক্ষ মানুষকে টিকাকরণ করা হয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া…! ‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’!
‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.
শরীর স্বাস্থ্য – Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper
2021-04-26 15:18:45
Source link
Leave a Reply