হাইলাইটস
- গর্ভে যে অ্যামনিওটিক ফ্লুইড নির্গত হয়, সেটাই গর্ভস্থ শিশু গ্রহণ করে।
- হবু মা যে খাবার খাচ্ছেন, তার স্বাদ অ্যামনিওটিক ফ্লুইডের সঙ্গে মিশে যায়।
গর্ভাবস্থায় সময় যত এগোয়, ততই ক্ষিদে বাড়তে থাকে মহিলাদের। তাঁদের মাসল ও হাড় শিশুকে সুরক্ষা ও আরাম দেওয়ার জন্য তৈরি হয়ে যায়। গর্ভে থাকাকালীনই টেস্ট বাড তৈরি হয়ে যায় শিশুর। গর্ভবতী মহিলারা যা খান, তার সবকিছুরই স্বাদ গ্রহণ করার ক্ষমতা গর্ভস্থ সন্তানের তৈরি হয়ে যায়। গর্ভাবস্থার ১৪ থেকে ১৬ সপ্তাহের মধ্যে শিশু খাবারের স্বাদ বুঝতে শুরু করে। এই কারণেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সন্তানের খাবারের পছন্দ অপছন্দ তার মায়ের মতো হয়।
আমরা কোন খাবার খেতে পছন্দ করি, তা আমাদের জিভ ও মস্তিষ্কের ওপর নির্ভরশীল। যখন কোনও খাবারের স্বাদ আমাদের পছন্দ হয়, তা তখনই মস্তিষ্ক জিভকে জানিয়ে দেয়। একই ভাবে গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্কও মায়ের থেকে পাওয়া খাবারের স্বাদ সম্পর্কে তার জিভকে জানায়। গর্ভাবস্থার আট সপ্তাহ থেকে শিশুর টেস্ট বাড তৈরি হতে শুরু করে। এই সময় থেকেই গর্ভস্থ সন্তান কোন খাবারটা মিষ্টি, কোনটা নোনতা, কোনটা টক তা বুঝতে পারে।
গর্ভে যে অ্যামনিওটিক ফ্লুইড নির্গত হয়, সেটাই গর্ভস্থ শিশু গ্রহণ করে। হবু মা যে খাবার খাচ্ছেন, তার স্বাদ অ্যামনিওটিক ফ্লুইডের সঙ্গে মিশে যায়। খাবারের পুষ্টিগুণও এই অ্যামনিওটিক ফ্লুইডে মিশে থাকে। শিশু যত বড় হতে থাকে তত বেশি পরিমাণ অ্যামনিওটিক ফ্লুইড সে পান করে। গর্ভাবস্থার সাত মাসে গর্ভস্থ শিশু দিনে এক লিটার অ্যামনিওটিক ফ্লুইড পান করে। তার টেস্ট বাডও এই সময় অনেক বেশি উন্নত হয়।
শিশুরা যে মিষ্টি খাবার বেশি পছন্দ করে, তার কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। তবে মিষ্টির মধ্যে প্রচুর এনার্জি থাকে। মায়ের দুধের স্বাদও মিষ্টি। সেই কারণেই হয়তো শিশুরা দুধের জিনিস খেতে বেশি পছন্দ করে। তাই গর্ভবতী মহিলাকে বেশি করে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। না হলে পরে সন্তানকে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াতে অনেক সমস্যা হতে পারে।
টাটকা ভিডিয়ো খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন এই সময় ডিজিটালের YouTube পেজে। সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-04-20 17:00:56
Source link
Leave a Reply