শরীরের সব ভর বহন করে হাঁটু। তাই হাঁটুব্যথার সমস্যা হলে প্রতিদিনের কাজকর্মে বাঁধা সৃষ্টি করে।
পঞ্চাশোর্ধ্ব নারী-পুরুষ সবচেয়ে বেশি এই ব্যথায় ভুগে থাকেন। যাদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাদের হাঁটুব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
হাঁটুব্যথার কারণ:
আমাদের হাঁটু ভিন্ন হাড়ের সংযোগস্থল। এটি লিগামেন্ট ও মাংসপেশি দ্বারা সুগঠিত। জয়েন্টের সাবলীল নাড়াচাড়ার জন্য এর ভেতরে গ্রিজের ন্যায় স্থিতিস্থাপক পদার্থ থাকে।
এখন বয়স বা অতিরিক্ত ওজন বা অন্য কোনো কারণে যদি হাড়ে পরিবর্তন সাধিত হয় বা ভেতরের তরল পদার্থের স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস পায় তবে হাঁটুতে মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথা হতে পারে। অস্টিও আথ্রাইটিস বা হাঁটু ক্ষয় বয়স্ক রোগীদের হাঁটুব্যথার প্রধানতম কারণ। একটি সাধারণ এক্স-রে দ্বারা এর তীব্রতা সহজেই নির্ণয় করা যায়। এ ছাড়া লিগামেন্ট, মাংসপেশি বা মিনিসকাস ইনজুরির জন্যও হাঁটুব্যথা হতে পারে।
কী করবেন:
কারণ নির্ণয় করতে পারলে চিকিৎসা খুব সহজ। হাড় ক্ষয়জনিত হাঁটু ব্যথায় সমন্বিত চিকিৎসা বা ইন্টিগ্রেটেট ট্রিটমেন্ট যেমন: ইনফিলট্রেশন, ম্যানিপুলেশন ও ইলেকট্রোথেরাপি খুবই কার্যকর। এর সঙ্গে বিশেষ ধরনের ব্যায়াম করলে হাঁটু সবল হয়।
ইনফিলট্রেশন দ্বারা হাঁটুর জেলির স্থিতিস্থাপকতা বাড়ানো যায়। ফলে হাঁটু অধিক সচল হয় এবং দ্রুত ব্যথা কমে আসে। হাঁটুব্যথায় ম্যানিপুলেশনও খুব ভালো কাজ করে, ডিপ ফ্রিকশন বা সিরিয়্যাক্স টেকনিক নন-আথ্রাইটিক ব্যথা কমাতে খুব কার্যকর। আর ইলেকট্রোথেরাপি সব ধরনের হাঁটুব্যথা থেকেই রোগীকে উপশম দেয়।
স্বাস্থ্য – Jamuna Television
2020-08-29 06:51:25
Source link
Leave a Reply