হাইলাইটস
- দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মহামায়াতলা আজ উন্নয়নের ঢেউয়ে কলকাতার দখলে। শুধু পিনকোড কলকাতার।
- পুলিশ প্রশাসন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, সদর আলিপুর, মিউনিসিপ্যালিটি সোনারপুর রাজপুর, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা রাজ্য বিদুৎ পর্ষদ।
- সে যাই হোক জায়গার শরীরের গায়ে কলকাতার নাম লোটকেছে।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মহামায়াতলা আজ উন্নয়নের ঢেউয়ে কলকাতার দখলে। শুধু পিনকোড কলকাতার। পুলিশ প্রশাসন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, সদর আলিপুর, মিউনিসিপ্যালিটি সোনারপুর রাজপুর, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা রাজ্য বিদুৎ পর্ষদ। সে যাই হোক জায়গার শরীরের গায়ে কলকাতার নাম লোটকেছে।
গাড়িয়া মোড় বা মেট্রো স্টেশন থেকে মাত্র দু কিলোমিটার দূরে ঢালী পাড়া। অনেক পুরনো একটি পাড়া। বহু আগে সুন্দরবনের অংশে ছিল এই অঞ্চলটি। বহুকাল ধরে চড়ক মেলা চলে আসছে। এই মেলাকে ঘিরে যে উৎসাহ দেখলাম তাতে আমি অবাক হয়ে গেলাম। এই চড়ক পুজোর যিনি পুরোহিত, চাটুজ্জে মশাই, ওনার থেকে মেলার ইতিহাস খানিকটা শুনলাম। এই মেলার একজন প্রধান উদ্যোক্তার সঙ্গেও কথা হল। ওনাদের পূর্বপুরুষরা ছিলেন এই মেলার প্রতিষ্ঠাতা। ওনার ঠাকুরদাদার বাবা শ্রী যাদব চন্দ্র ঢালী ছিলেন সুন্দরবন ১ নম্বর ব্লকের জমিদার। এই সব অঞ্চল আজ থেকে এক দেরশো বছর আগে সুন্দর বনের অধীনে ছিল। এই ঢালী পরিবারের দান এই অঞ্চলের বহু উন্নয়নের কাজে লেগেছে।
মহামায়া মন্দিরের পাশ দিয়ে যখন যাচ্ছিলাম তখন রাস্তার দু ধারে বড় বড় আবাসন দেখে ভাবতেও পারিনি যে এখানে এখনও বাংলার প্রাচীন পল্লী সমাজের একটা ছবি আমদের জন্য অপেক্ষা করছে। মাঠ জুড়ে মেলা বসেছে, দশ দিনের এই মেলা আর তিনদিনের অনুষ্ঠান। নীলের পুজো দিয়ে শুরু হয়েছে, এর পর রাধা গোবিন্দের নামে কীর্তন ও নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শেষ হলেও মেলা চলবে আরও সাত দিন।
এখানকার যারা আদি বসবাসকারী মানুষজন তারা সবাই এই উৎসবের সঙ্গে জড়িত। পুজার আগের দিন চড়ক গাছটিকে ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা হয়। এতে জলভরা একটি পাত্রে শিবলিঙ্গ রাখা হয়, শিবের পাটা’ রাখা হয়, যা বুড়োশিব নামে পরিচিত। পুজোর বিশেষ অঙ্গ হল জ্বলন্ত অঙ্গারের উপর দিয়ে হাঁটা, কাঁটা আর ছুঁড়ির ওপর লাফানো, চড়কগাছে দোল খাওয়া।
আপনারাও আসুন একবার, তবে এখন নয়, পরে কোনো এক সময় যেদিন পৃথিবী শান্তি পাবে। ভালো থাকুন সচেতন থাকুন সুস্থ থাকুন। সামাজিক বন্ধন অটুট রেখে দৈহিক দুরত্ব বজায় রাখুন। গাড়িয়া থেকে অটো করে মহামায়াতলা নামুন, সেখান থেকে রিকশা ১৫ টাকা নেবে মেলায় আসতে। পায়ে হেঁটে দশ মিনিট লাগে।
(লেখক পরিচিতি: পেশা ভিন্ন হলেই ভ্রমণের টানে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। বছরভর ভ্রমণেই কেটে যায় তাঁর। ভ্রমণ সংক্রান্ত লেখালেখি প্রায় ১০ বছর।)
টাটকা ভিডিয়ো খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন এই সময় ডিজিটালের YouTube পেজে। সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-04-16 18:06:14
Source link
Leave a Reply