ডা· মো· শহীদুল্লাহ
সহযোগী অধ্যাপক
কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগ, কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ
রোজাদারদের মধ্যে অনেক সময় সাধারণ কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা যায়। এগুলোর মধ্যে কয়েকটি হলো-
কোষ্ঠকাঠিন্যঃ পায়খানা শক্ত হয়ে যাওয়া বা ঠিকমতো পরিষ্কার না হওয়া। খাবারে যথেষ্ট পরিমাণে আঁশ না থাকলে বা প্রচুর পরিমাণে পানি পান না করলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। সুতরাং রমজানে আঁশযুক্ত খাবার প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে এবং প্রচুর পানি পান করতে হবে।
বদহজম ও বায়ুঃ পেট ফেঁপে যায়, একটু-আধটু শব্দ হয় এবং পায়ুপথে বায়ু বের হয়। অতিভোজন, ভাজা-পোড়া, অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার ইত্যাদি খেলে এরূপ হতে পারে। আবার কিছু খাবার আছে, যেগুলো পেটে গ্যাস উৎপন্ন করে। যেমন, ডিম। অতএব, এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে চাইলে উল্লিখিত খাবার খাওয়া বাদ দিতে হবে।
বুক জ্বালা, পেটের ওপরের অংশে ব্যথাঃ রোজায় অনেকের পাকস্থলীর এসিড বেড়ে যায়। পাকস্থলীর এসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে বুক জ্বালা, পেটের ওপরের অংশে ব্যথা হতে পারে। অতিভোজন, বেশি মসলাযুক্ত খাবার ও ভাজা-পোড়া খাবার এসিডের মাত্রা বাড়ায়। ধূমপানও এসিডিটি বাড়ায়। খাদ্যের আঁশ পাকস্থলীর এসিড হওয়া কমায়। খাবার গ্রহণে সংযত হতে হবে। পাকস্থলীর এসিড উৎপাদন কমায়, সে ওষুধ আছে। চিকিৎসকের পরামর্শে এ ধরনের ওষুধ গ্রহণ করতে হবে।
অতিরিক্ত দুর্বলতাঃ রক্তে শর্করার পরিমাণ অনেক কমে গেলে দুর্বলতা হতে পারে। রক্তচাপ কমে গেলেও এ রকম হতে পারে। রাতে প্রচুর পানি পান করতে হবে। খাবার হতে হবে সুষম। সেহরি অবশ্যই খেতে হবে।
সুষম, স্বাস্থ্যকর ও পরিমিত খাবার গ্রহণ করুন, রোজা রাখুন ও সুস্থ থাকুন।
সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো, সেপ্টেম্বর ১০, ২০০৮
Leave a Reply