ডা· রওশন আরা খানম
স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ
সহকারী অধ্যাপক,
বেগম খালেদা জিয়া মেডিকেল কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, ঢাকা
সমস্যাঃ আমার স্ত্রীর বয়স ২৫ বছর। ২০০৩ সালে প্রথম সন্তান জন্ম নেওয়ার সময় তার জরায়ুর খানিকটা বেরিয়ে আসে। লজ্জা, সংকোচ আর অনভিজ্ঞতার কারণে ব্যাপারটা নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া যায়নি এত দিন। ২০০৫ সালে দ্বিতীয় সন্তানের মা হওয়ার সময় তার জরায়ুর বেরিয়ে থাকা অংশ উরুর সঙ্গে ঘষা খেয়ে অস্বস্তিকর জ্বালাপোড়া করলে সম্প্রতি একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হই। তিনি এক সপ্তাহের ওষুধ দিয়ে দেখা করতে বলেছেন। এক সপ্তাহ পর দেখা করলে তিনি আরও এক মাসের ওষুধ দিয়ে বলেছেন, এক মাস পর বিশেষ একটা চিকিৎসা করাবেন। তার মাসিক শুরু হলে একনাগাড়ে এক সপ্তাহ থাকে। আমি শুনেছি যে অ্যালোপ্যাথিতে কাজ হবে না, কাজ হলেও ভবিষ্যতে সন্তান ধারণে অক্ষম হবে। আমি তৃতীয় সন্তানের জন্য আগ্রহী নই। আমাকে যথাযথ পরামর্শ দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
চাঁদপুর।
পরামর্শঃ জরায়ু নেমে যাওয়া বা বের হয়ে যাওয়া বাংলাদেশে নারীদের একটি সাধারণ সমস্যা। এ অবস্থা হয় সাধারণত প্রশিক্ষিত নয়, এমন ধাত্রী দিয়ে প্রসব করালে। ক্ষতি যা হওয়ার তা তো হয়েই গেছে। এখন আপনার স্ত্রীর সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। জরায়ু সঠিক স্থানে প্রতিস্থাপন করলে সন্তান ধারণে অসুবিধা হবে না। তাই আপনারা নির্ভয়ে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে দেখা করুন। একবার জরায়ু বের হয়ে গেলে কোনো ওষুধেই তা আগের জায়গায় ফিরিয়ে নেওয়া যায় না। কেবল অপারেশনের মাধ্যমে তা প্রতিস্থাপন করা যায়।
সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো, জুলাই ৩০, ২০০৮
Leave a Reply