হাত-পায়ের যত্ন সব সময়ই নেওয়া উচিত। এর জন্য বিশেষ দিনক্ষণের প্রয়োজন নেই। তবে রমজান মাসে হাতের ওপর ধকলটা বেশি পড়ে। আর প্রতিদিন বাইরে গেলে পায়ে তো ধুলাবালি লাগেই। এ ছাড়া শরীরে অনেক সময় ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে পায়ের মাধ্যমে। সে জন্য নিয়মিত হাত-পা পরিষ্কার করতে হবে। বলেন রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা।
পরিষ্কার হাত-পা শুধু সৌন্দর্যই বাড়ায় না, বাড়িতে তৈরি করা প্যাক লাগিয়ে হাত-পায়ে মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। যাদের প্রতিদিনই বাইরে যেতে হয়, তাদের মাসে অন্তত দুবার মেনিকিউর ও পেডিকিউর করানো উচিত। এটি আপনি বাসায় বসেই করতে পারেন। এর জন্য প্রয়োজনীয় সব উপকরণ যেমন নেইল কাটার, এমেরি বোর্ড, কিউটিকল পুশার, বাফার ইত্যাদি কিনতে পাওয়া যায়। বাজারে হাত ও পায়ের জন্য বিশেষ ধরনের ব্রাশ পাওয়া যায়। নরম ধরনের ব্রাশ কেনা উচিত হাতের জন্য। এর বিকল্প হিসেবে পুরোনো টুথব্রাশও ব্যবহার করতে পারেন।
পদ্ধতি
হাত ও পায়ের জন্য মোটামুটি একই পদ্ধতিতে যত্ন নিতে পারেন। নখে নেইলপলিশ থাকলে প্রথমে সেটি রিমুভার দিয়ে তুলে ফেলুন। নখ বড় রাখতে না চাইলে নেইল কাটার দিয়ে কেটে নিন। এরপর এমেরি বোর্ড দিয়ে ঘষে ফাইল করে নিন। এরপর হালকা গরম পানিতে শ্যাম্পু, লবণ ও সামান্য তেল মিশিয়ে নিতে হবে। তাতে হাত-পা ডুবিয়ে নিন। ১০-১৫ মিনিট রেখে ব্রাশ দিয়ে ঘষুন। হাতে খুব জোরে ঘষবেন না। এরপর কিউটিকল পুশার দিয়ে নখের কিউটিকলগুলো পেছনের দিকে ঠেলে দিন। নখের কোণের বাড়তি অংশও এটি দিয়ে কেটে ফেলুন। তবে পায়ের গোড়ালি ভালোভাবে ঘষতে হবে। চালের গুঁড়া, শসার রস, গাজরের রস, দুধ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এটি স্ক্রাবের কাজ করবে। সময় পেলে গোসলের সময় শরীরে লাগাতে পারেন। হাত-পা নরম তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। এরপর প্যাকটি লাগাতে হবে। কিছুক্ষণ রেখে হালকাভাবে ঘষে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তৈলাক্ত ত্বক হলে দুধের মিশ্রণে লেবুর রস দিতে পারেন। সঙ্গে কয়েক ফোঁটা মধুও দেওয়া যেতে পারে। ময় ময়েশ্চরাইজারের কাজ করবে। এ ছাড়া বেসন, মুলতানি মাটি, গাজরের রস, শসার রস, লেবুর রস সামান্য তেল দিয়েও মিশ্রণ তৈরি করতে পারেন। হাত-পা পরিষ্কার হয়ে এলে বাফার বা শাইনার দিয়ে নখগুলো ঘষে নিন। এতে নখের উজ্জ্বলতা বাড়বে। হাত-পা পরিষ্কার করে ময়েশ্চরাইজার লাগাতে ভুলবেন না।
তিলের তেল, গ্লিসারিন ও গোলাপজল মিশিয়ে হাতে-পায়ে লাগালে ত্বক মসৃণ হয়। আপনি চাইলে নারকেল তেলও লাগাতে পারেন।
রমজানের সময় ঘরে রান্নার পরিমাণ বেড়ে যায়। হাতে দাগ পড়ে। তখন নিয়মিত লেবু ঘষতে হবে। নখে লেবু ঘষলে দাগ দ্রুত উঠে যায়।
হাতের প্যাক
আধা কাপ আনারস, আধা কাপ পেঁপে, চার টেবিল-চামচ মধু, এক কাপ ভুসি।
সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে হাতের কনুই, বাহুতে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখতে হবে। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
পায়ের প্যাক
আধা চা-চামচ ভিনেগার, আধা কাপ টকদই মিশিয়ে পা ও পায়ের গোড়ালিতে ভালোভাবে মালিশ করতে হবে। এভাবে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে পা মসৃণ থাকবে এবং রোগজীবাণুর সংক্রমণ হবে না।
তৌহিদা শিরোপা
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, আগস্ট ১৭, ২০১০
শ্রেয়া কুমার
হাত এবং পা আমাদের শরীরের সবচেয়ে উপেক্ষিত অঙ্গ। এগুলির পরিচর্যার জন্য এই ধরণের ঘরোয়া পদ্ধতিগুলি জানতে পেরে খুবই উপকৃত হলাম।
রিংকি
ভাল লাগলো বাড়িতে ট্রাই করবো|
ফারজানা
জেনে কাজে লাগল
akhi
thanks for good tips.