দৈনন্দিন ব্যবহারের ফলে অপরিচ্ছন্ন হয়ে পড়ে স্নানঘর। এতে ঘরের সৌন্দর্য তো নষ্ট হয়ই, নানা রোগজীবাণুও সৃষ্টি হয়। তাই কীভাবে স্নানঘর ঝকঝকে রাখবেন, সে বিষয়ে জানালেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি মহাবিদ্যালয়ের গৃহ-ব্যবস্থাপনা ও গৃহায়ণ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সেলিনা আখতার।
স্নানঘর পরিষ্কার রাখার প্রধান শর্ত হলো মেঝে পরিষ্কার রাখা। যদি মেঝে মোজাইকের হয়ে থাকে, তাহলে স্নানঘর ব্যবহারের পর মেঝেতে জমে থাকা পানি বেলচা দিয়ে তুলে ফেলতে হবে। আর যদি টাইলসের মেঝে হয়, তাহলে প্রতিদিন ব্যবহারের পর চট দিয়ে মেঝে মুছে নিতে হবে।
নিয়মিত ব্যবহারের ফলে প্যান বা কমোডে হলুদ দাগ পড়ে যায়। সে ক্ষেত্রে সপ্তাহে এক দিন লিকুইড ক্লিনার প্যান বা কমোডে ছড়িয়ে দিন। তারপর কমোড হলে গোলাকৃতির ব্রাশ এবং প্যান হলে লম্বাকৃতির ব্রাশ দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করুন।
অনেক দিন ব্যবহারের ফলে বেসিনের ওপর পানি পড়ে এক ধরনের হলুদ আবরণের সৃষ্টি হয়। গুঁড়া সাবানের সঙ্গে স্নানঘর পরিষ্কারের লিকুইড ক্লিনার মিশিয়ে সেই দাগের ওপর ছড়িয়ে দিন। ১০ মিনিট রাখার পর দাঁত মাজার পুরোনো ব্রাশ দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করুন। একই পদ্ধতিতে স্নানঘরের টাইলসের ফাঁকে ফাঁকে জমে থাকা ময়লাও দূর করতে পারেন।
পানির ফোঁটা পড়ে অনেক সময় আয়নায় দাগ পড়ে যায়। তাই খবরের কাগজ ভিজিয়ে মুছে নিন আয়নাটি।
সাবানদানিতে সাবান জমতে জমতে একসময় সেগুলো শক্ত হয়ে যায়। সাবানদানি পানিতে ভিজিয়ে প্লাস্টিকের শক্ত মাজনি দিয়ে ঘষে নিন।
স্নানঘরের পাইপ দিয়ে নানা ধরনের পোকামাকড় আসে। প্রতিদিন রাতে যে পাইপ দিয়ে পোকা আসে সেই পাইপের ভেতর ফুটন্ত গরম পানি ঢেলে দিন।
স্নানঘরে কাঠের দরজা থাকলে পানিতে ভিজে দরজার নিচের কাঠের অংশটুকুতে পচন ধরে যায়। তাই দরজার নিচের দিকে তিন থেকে চার ফুট জায়গায় প্লাস্টিকের পাতলা শিট দিয়ে মুড়ে দিন। তাহলে দরজা আর নষ্ট হবে না।
স্নানঘরের স্যাঁতসেঁতে ভাব দূর করতে ভেতরে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন।
স্নানঘর দুর্গন্ধমুক্ত রাখতে চাইলে একটি ছোট কাচের বাটিতে সুগন্ধি ফুল রেখে তা বেসিনের এক কোনায় রেখে দিন।
বিপাশা রায়
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মে ১১, ২০১০
Leave a Reply