অনেকেরই বিশেষ কোনো কারণ ছাড়াই ঘন ঘন প্রস্রাব হতে দেখা যায়। কারো কারো রাতে ঘুম ভেঙে যায় প্রস্রাবের বদভ্যাসের কারণে। কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে হয়ত তেমন কোনো কারণ উদঘাটন করা যায় না। আবার কারো কারো কোনো সুস্পষ্ট কারণ বা কিছু একটা যে ঘটতে যাচ্ছে তার লক্ষণ পাওয়া যেতে পারে। তবে যেভাবেই ঘটুক না কেন, যাদের ঘন ঘন প্রস্রাব হচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে যে কোনো পরিমাণে দেহের ওজন কমাতে পারলেই প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণ করা অনেকটা সহজ হবে। বিশেষত ডায়াবেটিস হতে যাচ্ছে এমন মহিলাদের ক্ষেত্রে কথাটি আরো সত্যি। তাদের রক্তে স্বাভাবিক অবস্হার চেয়ে বেশি পরিমাণে গ্লুকোজ থাকে, কিন্তু ডায়াবেটিস হয়েছে বলে শনাক্ত করা হয়নি।
মধ্যবয়সী ও প্রৌঢ়বয়সী মহিলা যাদের দৈহিক ওজন বেশি তাদের ক্ষেত্রে গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, তাদের দৈহিক ওজন কমাতে পারলে প্রস্রাব করার হার কমে। এসব মহিলার ওজন ৫% থেকে ৭% কমিয়ে দেখা গেছে, তাদের মুত্রাশয়ের গতি নিয়ন্ত্রণ যোগ্য ছিল না। অনেক সহজেই তা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে। তাদের ওজন কমানোর জন্য কম ক্যালরিসমৃদ্ধ খাবার খেতে বলা হয়েছিল এবং একই সঙ্গে নির্ধারিত শারীরিক শ্রম করতে বলা হয়েছিল। গবেষক দলের প্রধান ড. জিনেট এস ব্রাউন বলেন, ২০০ পাউন্ড ওজনের কোনো মহিলা যদি তার দৈহিক ওজন ১০ পাউন্ড থেকে ১৫ পাউন্ড কমান তবে তার টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি যেমন হ্রাস পায়, তেমনি তার মুত্রাশয়ের নিয়ন্ত্রণও বেড়ে যায়। আর এ ক্ষেত্রে ব্যায়াম বেশ সাহায্য করতে পারে।
————————
ডা. শাহজাদা সেলিম
আমার দেশ, ৩ জুন ২০০৮
Leave a Reply