আর মাত্র কয়েক দিন পর শুরু হবে ইংরেজি নতুন বছর ২০১০ সাল। নতুন বছরে নতুন যে জিনিসগুলো চাই-ই তা হলো বর্ষপঞ্জি বা ক্যালেন্ডার এবং ডায়েরি। একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকে কর্মরত মশিউর রহমান বলেন, নতুন বছরে ডায়েরি ও বর্ষপঞ্জি না হলেই নয়। কারণ বছরশেষে ডায়েরির পাতা যেমন শেষ, তেমনি পুরোনো বর্ষপঞ্জির উপযোগিতাও শেষ।
অনেক প্রতিষ্ঠানই তার নিজস্ব ডায়েরি ও বর্ষপঞ্জি তৈরির কাজ শেষ করেছে। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান নিজেরা ফরমায়েশ দিয়ে তৈরি না করে কিনে সরবরাহ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। যাঁরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে উপহার হিসেবে অন্যকে দেবেন, তাঁরাও খোঁজখবর নিচ্ছেন ডায়েরি ও বর্ষপঞ্জির বাজারদরের। হাল-সময়ের চাহিদা ও রুচির কথা বিবেচনা করে ডায়েরি ও বর্ষপঞ্জি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বাহারি সব আয়োজন নিয়ে হাজির হয়েছে। বললেন আপন প্রোডাক্টসের ব্যবস্থাপক (বিক্রয় ও বিপণন) নির্মল কুমার দাস। তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন নিজেদের তৈরি ডায়েরি ও বর্ষপঞ্জি বিক্রি করছে, আবার মানসম্পন্ন বিদেশি ডায়েরিও পাওয়া যাচ্ছে বাজারে।
ডায়েরি
প্রতিবছরের মতো এবারও নানা ধরনের ডায়েরি তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানগুলো। এগুলোর মধ্যে আছে সাধারণ ডায়েরি, ভিআইপি ডায়েরি, অ্যাপয়েনমেন্ট ডায়েরি ইত্যাদি। আকার, আকৃতি ও মলাটের ধরন অনুযায়ী এগুলোর দাম পড়বে ৯০ থেকে শুরু করে ৭০০ টাকা পর্যন্ত। তবে খুচরা মূল্যের চেয়ে পাইকারি মূল্য সাধারণত কম হয়ে থাকে। আর ছোট আকারের পকেট ডায়েরি পাওয়া যাবে ৩০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে।
বর্ষপঞ্জি
বিভিন্ন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ছবিসংবলিত নানা ধরনের পঞ্জিকা নিয়ে এসেছে। গ্রাহকদের কথা বিবেচনা করে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্ব তোলা ছবি ব্যবহার করে এসব বর্ষপঞ্জি তৈরি করছে। ১, ৩, ৪, ৬ ও ১২ পৃষ্ঠার এসব পঞ্জিকার দাম সর্বনিম্ন ছয় থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত। ডেস্ক বর্ষপঞ্জির দাম পড়বে ২৫ থেকে সর্বোচ্চ ৮০ টাকা।
কোথায় পাবেন
ডায়েরি ও বর্ষপঞ্জির সবচেয়ে বড় বাজার হচ্ছে বাংলাবাজার। এ ছাড়া পুরান পল্টন, নিউমার্কেট, গুলশানে রয়েছে পাইকারি ও খুচরা বাজার। এলাকাভিত্তিক স্টেশনারি বা বই বিক্রয়কেন্দ্র থেকে আপনি খুচরায় কিনতে পারবেন। এ ছাড়া হলমার্ক, আর্চিস গ্যালারি ইত্যাদি দোকানেও পাওয়া যাবে বাহারি ডিজাইনের ডায়েরি ও বর্ষপঞ্জি। আড়ং, যাত্রা ইত্যাদি ফ্যাশন হাউসে পাবেন হাতে তৈরি কাগজে বানানো ডায়েরি। তবে এসব ডায়েরি-বর্ষপঞ্জি পরিমাণে বেশি কিনতে হলে সোজা চলে যেতে পারেন পাইকারি বাজারে। তাতে দাম একটু কমই পড়বে।
সাইদ আরমান
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ডিসেম্বর ২২, ২০০৯
Leave a Reply