‘ওই যে সান্তাক্লজ, আসছে উড়ে, তোমাকে, হ্যাঁ শুধু তোমাকেই শুভেচ্ছা জানাতে, বড়দিনের আনন্দঘন এ মুহূর্তে।’
বড়দিন আনন্দের দিন, প্রার্থনার দিন, পরস্পরকে শুভেচ্ছা জানানোর দিন। মনের খুশির বহিঃপ্রকাশ ঘটে উপহার ও কার্ডের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়ে। হাতে বানানো অথবা দোকানের কার্ডগুলো এ ক্ষেত্রে বড় একটা ভূমিকা পালন করে।
বড়দিন উপলক্ষে কার্ডই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। রকমারি শুভেচ্ছাবাণী ও রঙের বাহারে ইতিমধ্যেই দোকানের কার্ড শেলফগুলো পরিপূর্ণ। কার্ডের পাশাপাশি উপহার দিতে পছন্দ করেন অনেকেই। এ উপহার পেয়ে খুশি হয় প্রিয় মানুষটিও। পছন্দের তালিকায় রাখার মতো উপহারও পেয়ে যাবেন নানা দোকানে- ছবির ফ্রেম, মগ, গহনা, পুতুল। অনেকে অবশ্য বেছে নিচ্ছেন ছোট টেবিল ল্যাম্প অথবা মোমদানিও। বড়দিন উপলক্ষে আড়ং নিয়ে এসেছে লাল-সাদা ঝলমলে রঙের মোমবাতি। ‘উপহার হিসেবে চকলেটই আমার সব থেকে প্রিয়’ বলে জানালেন এখানে আসা ক্যাথরিন রোজারিও।
ব্যাগ, ঘড়ি, গানের সিডি, ডিভিডি প্রভৃতি উপহারসামগ্রীর তো শেষ নেই। তবে কাজে লাগে এমন কিছুই দিতে চান সিমি। এ কারণেই তিনি এবার বড়দিনে নতুন বছরের ডায়েরি উপহার দেবেন সবাইকে।
শুধু প্রিয় মানুষটিকে উপহার দেওয়ার মাধ্যমেই সীমাবদ্ধ থাকবে না এ আয়োজন। কেনাকাটা চলবে ক্রিসমাস গাছের জন্যও। রুপালি-সোনালি নকশা করা ছোট-বড় ঘণ্টা, চকমকে বল, তারা, রিং, ঝলমলে নানা জিনিসে সাজবে ক্রিসমাস গাছ। আছে ছোট সান্তাক্লজের পুতুল, মোজা, তারা। ক্রিসমাস গাছে লাল, নীল, হলুদ মরিচবাতির ফাঁকে সেগুলো ঝুলিয়ে দিন। তবেই সাজবে ক্রিসমাস গাছ।
হলমার্ক, আর্চিস, আইসকুল-এ আসা এ পণ্যসামগ্রীর দাম দেখে নেওয়া যাক। আবার যাত্রা, আড়ংসহ নানা ফ্যাশন হাউসেও আছে বড়দিনের আয়োজন। ক্রিসমাস গাছ এক হাজার ৩৫০ থেকে ১৫ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। কার্ড ১৫ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। ক্রিসমাস গাছ সাজানোর জন্য বল, তারা, সান্তাক্লজ ঘণ্টা, রিং ৫০ থেকে ২৫০ টাকা। মোমবাতি ৪০ থেকে ৫০০ টাকা। মেয়েদের ব্যাগ ২০০ থেকে দুই হাজার টাকা। শো পিস ১৫০ থেকে তিন হাজার ৩০০ টাকা। চকলেট ২০০ থেকে দুই হাজার টাকা। ছবির ফ্রেম ১৮০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা। সান্তাক্লজের পোশাক দুই হাজার টাকা।
রয়া মুনতাসীর
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ডিসেম্বর ২২, ২০০৯
Leave a Reply