গতানুগতিক শিক্ষার ধারা পাল্টে যাচ্ছে। মেধাবীসহ সাধরণ শিক্ষার্থী সবার কাছেই এখন এমন ডিগ্রির গুরুত্ব রয়েছে যেখানে ডিগ্রির পাশাপাশি চাকুরির নিশ্চয়তা এনে দেবে। একটা সময় ছিল যখন মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দের ছিল মেডিকেল অথবা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার। পরবর্তীতে অনেকেই ঝুঁকেছে বিবিএ ডিগ্রির দিকে: কিন্তু সেটাও এখন নেই। কেননা এসব ডিগ্রির নেওয়ার পর গতানুগতিক চাকরির পেছনেই ছুটতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
দেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সর্বাধিক স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিবিএ সহ এমবিএ পড়তে প্রায় ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা লাগে যা আবার চাকরির কোন নিশ্চয়তা বহন করে না। আবার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতও না। অথচ (ঈঅঞ+ঐড়হং রহ অঢ়ঢ়ষরবফ অপপড়ঁহঃরহম (অপপধঢ়ধৎঃ-২)+অঈঈঅ (ঋঁষষ ছঁধষরভরবফ) হতে মাত্র সাড়ে তিন লাখ টাকা লাগবে। এসিসিএ করে চাকরির জন্য আপনাকে ছুটতে হবে না। চাকরিই আপনাকে খুঁজবে।
পাট-২ সম্পূর্ণ করলে সাথে একটি থিসিস জমা দিলে ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড ব্রুক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এপ্ল্যায়েড একাউনটিং অনার্স ডিগ্রি চলে আসবে। এরপর পার্ট-৩ বাংলাদেশের যেকোন জায়গায় অথবা বিদেশেও করা যাবে।
প্রফেশনাল অ্যাকাউন্টিং কী
আমাদের দেশে যেমন সিএ ডিগ্রি আছে, তেমনি ইউকের সিএ ডিগ্রিকে বলে এসিসিএ। এই এসিসিএ এমন একটি প্রফেশনাল ডিগ্রি, যেখানে নিচের বিষয়গুলো পড়ানো হয়ে থাকে : ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আন্ডার, আইএএস, ম্যানেজমেন্ট ডিসিশন মেকিং, ফিন্যান্সিয়াল স্ট্র্যাটেজিস এবং অর্গানাইজেশনাল ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিস।
প্রফেশনাল অ্যাকাউন্টিং পড়ার সবচেয়ে বড় কারণ, বাংলাদেশসহ বিশ্বে এসিসিএর অকল্পনীয় গ্রহণযোগ্যতা। অন্যদিকে এটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ইউকের প্রফেশনাল সিএ ডিগ্রি।
যাদের জন্য প্রযোজ্য
যেহেতু এটি একটি প্রফেশনাল কোর্স, তাই একজন শিক্ষার্থী এসএসসি, এইচএসসি এবং ও লেভেল শেষ করার পর কিংবা বয়স ১৬ বছর হলেই সিএটি কোর্স করতে পারবে। এসিসিএর অধীনে প্রধানত দুটি কোর্স পরিচালিত হয়ে আসছে। সার্টিফাইড অ্যাকাউন্টিং টেকনিশিয়ান বা সিএটি এবং চার্টার্ড সার্টিফাইড অ্যাকাউন্টিং বা এসিসিএ। তবে ডিসেম্বরে পরীক্ষা দিতে চাইলে আগের বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। ব্রিটিশ কাউন্সিলে বছরের ১০ মাসের মধ্যে যে কোনো সময়ই সিএটির প্রথম চারটি বিষয়ে এবং এসিসিএর প্রথম তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা দেওয়া যায়। এ বিষয় দেশের মধ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে, যার মধ্যে সাইফুর’স অন্যতম। এখান থেকে একজন ছাত্র বিশ্বের ১৭৩টি দেশে ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধা পাচ্ছে। সাইফুর’স ইউনিভাসিটি কলেজ থেকে গত বছর সিএটি পরীক্ষা দিয়েছিল ২৪৭ জন। আর পাস করেছে ২০৭ জন। এসিসিএ ১৫২ জনের মধ্যে ১০৯ জন পাস করেছে। যারা গ্রামীণফোন, রহিম আফরোজ, ব্যাংক এশিয়া, মিউচুয়াল ট্র্যাস্ট ব্যাংক, ব্যাংক আলফালাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে।
সাইফুর’স-এর পরিচালক সৌমিত্র দেব বলেন, তাদের নিজস্ব পাস গ্যারান্টি স্কিমে’র আওতায় শিক্ষার্থীদের শতভাগ নিশ্চিত পাসের উপযোগী করে তোলা হয়। এছাড়া অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী যারা অনেকে ইউকে থেকে এসিসিএ সম্পন্ন করে এসেছেন। ফলে ছাত্রছাত্রীরা ফাইনাল পরীক্ষায় আশাতীত ফল করে। বিস্তারিত জানতে দেখতে পারেন এই ওয়েবসাইটটি www.accaglobal.com
যোগাযোগ : ০১৯১২-১০১৪৭৩, ০১১৯৯-৯৮২২০১।
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক, ডিসেম্বর ১৯, ২০০৯
Shajjad hossain
Can i beginning after BBA? How it’s cost?
Shajjad hossain
Hi, I’m a student of BBA in nu.Can i beginning after BBA & How it’s cost?