শোরুমটিতে ঢোকার পথেই চোখে পড়বে দেশি পোশাকে চমত্কারভাবে সজ্জিত বর-কনে মূর্তির হাস্যোজ্জ্বল মুখ, যা আপনাকে বাঙালি সংস্কৃতির আনন্দঘন পারিবারিক উত্সব বিয়ের কথাই মনে করিয়ে দেবে।
২০ নভেম্বর চিরায়ত সংস্কৃতির বিয়ের পোশাক ও ঘর সাজানোর উপাদান নিয়ে ড্রেসিডেল নতুনভাবে যাত্রা শুরু করল ঢাকার গুলশানের রূপায়ণ গোল্ডেন এজে। ড্রেসিডেলের প্রধান নির্বাহী মায়া রহমানের মা সুফিয়া চৌধুরী শোরুমটির দ্বার উন্মোচন করেন।
মায়া রহমান বলেন, ‘বিয়ে জীবনের মাহেন্দ্রক্ষণ। তাই এর পোশাকটিও হতে হবে নান্দনিক ও নজরকাড়া। সাধারণত আমাদের দেশে বিয়ের পোশাক হিসেবে বিদেশে তৈরি পোশাকের ওপর গুরুত্ব বেশি দেওয়া হয়, যেগুলোর দাম অনেক বেশি। এ বিষয়টি চিন্তা করে আমরা নিজেরাই কাপড়ের গুণগতমান ঠিক রেখে দেশীয় সংস্কৃতির ছাপ রাখার চেষ্টা করেছি আমাদের বিয়ের পোশাকে।’
লাল, সাদা, বাদামি, সবুজ, গোলাপি, জলপাইসহ বিভিন্ন রঙের হালকা কাপড় যেমন—জর্জেট, মসলিন, নেট, তসরের ওপর করা হয়েছে অ্যাপলিক, প্রিন্ট, হ্যান্ড এমব্রয়ডারি, কুন্দন, লেইস, স্প্রিং ও চুমকির বৈচিত্র্যপূর্ণ কাজ। বিয়ের শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে ওড়নাসহ ব্যাগও করা হয়েছে। শাড়ির পাশাপাশি রয়েছে শেরোয়ানিও। চাইলে শাড়ির মোটিফের সঙ্গে মিলিয়ে ফরমায়েশ দিয়ে শেরোয়ানিও করানো যাবে।
নবদম্পতির ঘরটা সুন্দর করে সাজানোর জন্য ড্রেসিডেল নিয়ে এসেছে ঘর সাজানোর নানা উপাদান। ড্রেসিডেলের ডিজাইনার বিপ্লব বিপ্রদাশ জানান, ঘর সাজানোর উপাদানের মধ্যে বেড কভার, কুশন কভার, বালিশ কভারগুলোতে আনা হয়েছে বৈচিত্র্যের ছোঁয়া। সিল্ক, তসর, সুতি কাপড়ের ওপর কোলাজ আর্ট, নিউজ প্রিন্ট ছাপ, কাটওয়ার্ক, কাঁথাস্টিচ, এমব্রয়ডারির ব্যবহার হয়েছে।
বিয়ের শাড়িগুলোর মধ্যে নেটের ওপর স্প্রিংয়ের কারুকাজ করা শাড়ি পাবেন ১৮ হাজার ৭৬০ টাকায়, মসলিনে ভারী চুমকির কাজ এক লাখ ২০ হাজার ৭৬০, জর্জেটের ওপর কাজ ৫৬ হাজার ৭৮০ এবং কুন্দনের কারুকাজ ৬৯ হাজার ৭৮০ টাকায়। শাড়ির সঙ্গে রং ও কারুকাজ মিলিয়ে ওড়না পাবেন তিন হাজার ৪৮০ থেকে চার হাজার ৭৮৩ টাকায়। বিয়ের শেরোয়ানি পাবেন ২৯ হাজার ৭৮০ এবং ওড়না পাঁচ হাজার ৪৬০ টাকায়।
ঘর সাজানোর উপকরণের মধ্যে বিছানার চাদর আছে সাত হাজার ৯৮০ থেকে ১৪ হাজার ৯৮০ টাকায়, বালিশ কভার এক হাজার ৮০ থেকে এক হাজার ২৬০ এবং কুশন কভার সেট এক হাজার ৯৮০ থেকে এক হাজার ১৮০ টাকায়।
শান্তা তাওহিদা
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, নভেম্বর ২৪, ২০০৯
Leave a Reply