প্রশ্নঃ মাঝে মাঝে হঠাৎ করেই বুকে ব্যথা হয়। সব বুকের ব্যথাই কি হার্টের ব্যথা?
উত্তরঃ না, হার্টের ব্যথা ছাড়াও অন্যান্য অনেক কারণে বুকের ব্যথা হয়। যেমন-ফুসফুসের রোগ। গলার ব্যথা, লাং-এর রোগ, খাদনালীর সমস্যা, হাড়ের সমস্যা এবং বুকের চামড়া থেকে বুকের ভেতরের সব অঙ্গগুলোর যে কোনটার রোগ হলেই বুকে ব্যথা হয়।
প্রশ্নঃ যাদের দেহে কোলস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকে তারা মিষ্টি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে পারবে কি না?
উত্তরঃ মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে পারবে তবে ফ্যাট জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। সাধারণত যাদের ডায়বেটিস ও যারা মোটা তাদের মিষ্টি খাওয়া নিষেধ।
প্রশ্নঃ উচ্চরক্তচাপ কিছুদিন ওষুধ খাওয়ার ফলে নিয়ন্ত্রণে আছে। ওষুধ ছেড়ে দিলে ক্ষতি হবে কিনা।
উত্তরঃ উচ্চরক্তচাপের প্রায় সব ওষুধই ২৪ ঘন্টার বেশি কাজ করে না। তাই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিনই ওষুধ খেতে হবে।
প্রশ্নঃ অনিয়মিত হার্টবিট কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়?
উত্তরঃ সাধারণত ধূমপান, চিন্তা, অতিমাত্রায় কাজ, এগুলোর জন্য অনিয়মিত হার্টবিট দেখা দেয়। এগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া কিছু কিছু হার্ট ডিজিজ আছে যেসব কারণে অনিয়মিত হার্টবিট হয় সেগুলোর চিকিৎসা করাতে হবে।
প্রশ্নঃ সাধারণত দেখা যায় হার্টের রোগীদের বিশ্রাম নিতে বলে ডাক্তাররা- এটা কেন?
উত্তরঃ কাজ করলে হার্টের ওপর চাপ পড়ে। এজন্য কিছু কিছু হার্টের রোগ যেমন-হার্ট ফেইলিওর, স্কিমিক হার্ট ডিজিজ। এসব হার্টের রোগীরা কাজ বেশি করলে হার্টে চাপ পড়ে ফলে অবস্থা খারাপ হতে পারে।
প্রশ্নঃ উচ্চরক্তচাপ হার্ট এ্যাটাকের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কি না?
উত্তরঃ উচ্চরক্তচাপ হার্ট এ্যাটাকের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এটা নিয়ন্ত্রিত না থাকলে হার্টের জটিলতা যেমন-হার্ট ফেইলিওর, স্কিমিক হার্ট ডিজিজ হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ হার্টের ব্যথা বা বুকের ব্যথা হলে প্রাথমিক কি চিকিৎসা দেয়া যেতে পারে?
উত্তরঃ প্রথমেই রোগের ইতিহাস নিয়ে পরীক্ষা করে এবং ইসিজি করে নিশ্চিত হতে হবে হার্ট ডিজিজ কিনা। হার্ট ডিজিজ হলে নাইট্রো গিস্নসারিন, ইকোস্কিন জাতীয় ওষুধ দেয়া যেতে পারে। তবে এসব চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়াই উত্তম।
প্রশ্নঃ হার্ট ডিজিজ বা হার্ট এ্যাটাক হলে কি কি ধরনের চিকিৎসা হতে পারে?
উত্তরঃ হার্ট এট্যাকের প্রকারভেদ চিকিৎসা নির্ভর করে কি ধরনের ডিজিজ হয়েছে এবং রোগ ভেদে চিকিৎসা করতে হবে। যেমন- কনজেসটিভ কার্ডিয়াক ফেইলিওর হলে ঘুমের ওষুধ ও লবণ কম খেতে বলা হয়। এছাড়া রোগের কারণ ও চিকিৎসা করতে হয়। করনারী হার্ট ডিজিজ হলে করনারী বাইপাস বা বাল্ব পরিবর্তন করা হয়।
প্রশ্নঃ বিয়ের পর ওজন বেড়ে যাচ্ছে, কিভাবে কমাব?
উত্তরঃ বিয়ের সাথে ওজন বাড়ার কোন সম্পর্ক নেই। জীবনের অনিশ্চয়তা থেকে নিশ্চয়তা এবং সুখী জীবন ওজন বাড়ার কারণ হতে পারে। তবে ওজন রাখতে হলে নিয়মিত ব্যায়াম, নিয়মিত খাবার গ্রহণ করতে হবে।
ফাতেমা ইয়াসমীন লিথি,
খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগ।
———————-
উত্তর দিয়েছেন ডাঃ প্রফেসর তোফায়েল আহম্মেদ
চেয়ারম্যান, মেডিসিন বিভাগ,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকা।
দৈনিক ইত্তেফাক, ৩১ মে ২০০৮
Leave a Reply