বিবাহিত জীবনে সুখের মুল চাবিকাঠি হল শারীরিক সম্পর্ক৷ মনের সঙ্গে শারীরিক বন্ধনটা যদি সুদৃঢ় থাকে তাহলে আপনার বৈবাহিক জীবনও মধুর হবে৷ তবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই সন্তান হয়ে যাওয়ার পর স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্কের মধ্যে ব্যবধান তৈরী হয়৷ আর এই শারীরিক ব্যবধানটা কোন কোন সময় এতটাই ভয়াবহ রুপ ধারণ করে যা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব নিয়ে আসে৷ স্ত্রীকে ছেড়ে স্বামী তখন অন্য মহিলাদের প্রতি আকৃষ্ট হন৷ চলুন বিবাহিত জীবনে রোমান্টিকতা বজায় রাখতে গেলে কি ধরণের শারীরিক মিলন ট্রিক্স মানতে হবে তা জেনে নিই৷
রুটিন বদলে চলুন: ব্যস্ত জীবনের থেকে খানিকটা সময় বার করে আপনার স্ত্রীর সঙ্গে সময় অতিবাহিত করুন৷ এমন দিনটাকে বাঁছুন যেদিন আপনার ছেলেমেয়েরা স্কুলে থাকবে৷ সেই মধুর সময়টাকে উপভোগ করতে কখনও ভুলবেন না৷ এতে আপনার কাজের এনার্জী দ্বিগুন বৃদ্ধি পাবে৷
মিলনে অনিহা প্রকাশ করবেন না: সন্তান হয়ে যাওয়ার পরে মহিলাদের দায়িত্বটা সাধারনত বহু গুনে বেড়ে যায়৷ আর এর সঙ্গে মানসিন চাপটাও বাড়ে৷ তবে আপনি যদি ঠিকমত স্বামীর সঙ্গে শারীরিক ভাবে মিলিত হতে পারেন তাহলে আপনার মনের চাপটা একেবারে কমে যাবে৷ আপনার স্বামী যদি কখনও শারীরিক মিলনের আগ্রহ প্রকাশ করেন কখনও তাতে অনিহা প্রকাশ করবেন না৷ এতে স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে পারে৷ রাতে যদি সন্তানের জন্য স্বামীর সঙ্গে মিলিত হতে না পারেন তাহলে সকালের দিকে চেষ্টা করুন৷
স্বামীর সঙ্গে বার্তালাপ করুন: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বার্তালাপ ঠিকমত না হলে দূরত্ব তৈরী হয়৷ আর এই কমিউনিকেশন গ্যাপই একে অপরের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি তৈরী করে৷ যদি রাতে দেরী করে বাড়ি ফেরার জন্য স্বামীর সঙ্গে কথা বলতে না পারেন তাহলে সকালে ঘুম থেকে উঠে চায়ের কাপটা নিয়ে মিষ্টি চুম্বনের মধ্যে দিয়ে স্বামীর ঘুম ভাঙানোর চেষ্টা করুন৷
স্পর্শ রোমন্থন: বিয়ের পর পর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটা খুবই মধুর থাকে৷ একে অপরকে চোখে হারানো, আস্তে করে কোমরে হাত রাখা,আলতোভাবে বুকের কাছে টেনে আনা এসবের মাঝে দাম্পত্য প্রেমটা গভীর স্তরে পৌঁছায়৷ কিন্তু এই দিন যত গড়াতে থাকে অর্থাত সম্পর্কটা একটু পুরোনো হযে যাওয়ার পর এসবের অস্তিত্ব আর থাকে না৷ আর সন্তান হয়ে যাওয়ার পর তো সব যেন কোথায় হারিয়ে যায়৷ এই মধুর মুহুর্ত গুলোকে জীবন থেকে হারাতে দেবেন না৷ সন্তান জন্মানোর পরেও সেই নতুন স্পর্শ,নতুন অনুভূতির অস্তিত্ব জীবনে বজায় রাখুন৷
সূত্রঃ ওয়েবদুনিয়া.কম
Leave a Reply