প্রাসাদের সামনে খানিকটা খোলা প্রাঙ্গণ, প্রাঙ্গণের একধারে ছোট ছোট চেয়ার টেবিল। কাঠের একটি সেতু। সেতুর ওপর দাঁড়ালেই ছোট্ট সরোবর-এর টলটলে পানি ছুঁয়ে যাবে উদাস মনকে। দোতলা বিশিষ্ট প্রাসাদের নীচতলার ইন্টেরিয়ারে রয়েছে কাঠের কারুকার্য। ফলস সিলিং এর পুরোটাই কাঠে মোড়া। কাঠের সিলিং এর মাঝখানে অ্যান্টিক ল্যাম্প শেড। গোটা দেয়াল জুড়ে পেইন্টিংস-এর সমারোহ। এখানেও রয়েছে ক্রিয়েটিভিটির খোলা, পুরো পেইন্টিংসটাই দেয়ালে আঁকা, শুধু ফ্রেমগুলো বসানো হয়েছে কাঠ দিয়ে। পেইন্টিংসের থিম হচ্ছে নদীর মাঝখানে চর। আর এ চরগুলো স্থাপন করা হয়েছে কাঠ দিয়ে। দেয়াল সজ্জায় আরো ব্যবহৃত হয়েছে গাছের গুড়ি যেগুলো সাধারণত বিল্ডিং তৈরির সময় পাইলিং এর কাজ করে। নিচতলার বড় কামরাটি ষোল’শ স্কয়ার ফিটের। নীচতলার সদর দরজা ঠেলে বের হয়ে কাঠের সিঁড়ি। এক পা-দু পা করে সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠলেই দোতলায় অপেক্ষারত চমক একে একে উন্মোচিত হবে। প্রায় দু’হাজার বর্গক্ষেত্রের উপরের আয়োজনটির দেয়াল সাজানো হয়েছে নুড়ি পাথর দিয়ে। মজার বিষয় হিচ্ছে রং করা দেয়ালে রং নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে শতভাগ। তাই দেয়াল সজ্জায় বেছে নেয়া হয়েছে নুড়ি পাথর। সারি সারি জানালায় স্থাপন করা হয়েছে সোনালী রূপালী লেইস। মেঝের কাটিং এ ভিন্নতা আনার জন্য বড় বড় ইট বসান হয়েছে। ‘এট্রিয়াম’ নামের স্বার্থকতা প্রসঙ্গে এর ম্যানেজার জানান, ‘এট্রিয়াম অর্থ হৃদয়ের একটি অংশ। রোমান্টিক ও খোলা-মেলা জায়গায় সময় কাটানোর উদ্দেশ্যকে সফল করতেই এট্রিয়ামের যাত্রা শুরু।’
থাই, কন্টিনেন্টাল ও ইটালিয়ান মূলত এ তিন ধরনের খাবারের আয়োজন রয়েছে এট্রিয়ামে। দুপুরের খাবারে রয়েছে বুফে ব্যবস্থা। এট্রিয়ামের এক্সক্লুসিভ ফুড মেন্যুতে রয়েছে ফ্রাইড ক্যালামারি, মিক্সড সি-ফুড উইথ পিঙ্ক সস, স্টেক অউ পৌভ, ইয়াম টা লে, চিকেন ক্যাশোনাট সালাদ, গ্লেইজড চিকেন, চিকেন স্টার ফ্রাই উইথ স্পাইসি পিনাট সস, স্পাইসি জিঞ্জার বিফ, রোস্টেড প্রণ উইথ পাইনাপেল, সি ফুড সিজলিং, এট্রিয়াম স্পেশাল ফ্রাইড রাইস, টেঙ্গরি কাবাব, তন্দুরী প্রণ, পনির টিক্কা, কাসুরি প্রণ মালাই কারি।
এট্রিয়ামের ডিজাইন করেছেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার সুদীপ্ত মাল্লিক সাহা। আর কনসেপ্ট প্রোভাইড করেছেন এট্রিয়ামের ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাজমুল হক। এট্রিয়ামে চাইলে বিভিন্ন পার্টি আয়োজন করা যাবে। আর এর জন্য কেনো অতিরিক্ত হল ভাড়া দেয়া লাগবে না। পাশাপাশি কিছু বিশেষ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা পাবেন এখানে ডিসকাউন্ট সুবিধা। এর জন্য কেবল আইডি কার্ডের ফটোকপি দেখালেই চলবে।
এক নজরে
যাত্রা শুরু : অক্টোবর ২০০৫
সময় সূচি : দুপুর ১২টা ৩০ থেকে ৩টা ৩০ ও সন্ধ্যা ৬টা ৩০ থেকে রাত ১১টা।
আয়তন : উপরের তলা ২০০০ বর্গক্ষেত্র ও নীচ তলা ১৬০০ বর্গক্ষেত্র
ঠিকানা : এট্রিয়াম, ৫০/৫২, প্রগতি স্মরণী, ব্লক জে, বারিধারা, ঢাকা-১২১২, ফোন : ০১৭১২৪৪৪২২, ০১৯১৪৫২২২৫০।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, জুলাই ১৪, ২০০৯
Leave a Reply