বর্ষায় কর্দমাক্ত পথ চলতে আমাদের যতটাই কষ্ট হোক, জুতার কিন্তু দফা রফা। আর তাই জুতার জন্য এই বর্ষায় চাই একটু স্পেশাল কেয়ার।
০ বৃষ্টির দিনে পথ চলতে জুতায় একটু পানির ছোয়া লাগাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সে জন্য বাড়িতে এসে জুতা ফ্রাই প্যানে তুলে দেবেন না। অনেকেই জুতা চুলার পাশে রেখে সেকে থাকেন। এটা কখনো করতে যাবেন না। তাপ লেগে চামড়া আর এর উপরে যে স্থায়ী পলিশ দেয়া থাকে তার ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই ভেজা জুতা শুকানোর জন্য কাগজ ব্যবহার করুন। কাপড় দিয়ে মুছে কাগজে মুড়ে জুতা ফ্যানের নিচে রেখে দিন। দেখবেন দ্রুত জুতা টনটনে শুকনা হয়ে যাবে। পারলে অবশ্যই রোদে দেবেন।
০ কাদার হাত থেকে আপনাকে রক্ষা করতে জুতা হয়তো নিজেই কাদায় মাখামাখি। তাই বাড়িতে এসে একটু সময় নিয়ে কাদা মুছে রাখুন। নইলে কাদা শুকিয়ে চামড়ার স্থায়ী কোনো ক্ষতি সাধন করতে পারে।
০ পানিতে ভেজা জুতা না মুছে রাখতে দ্রুত ফাঙ্গাস পড়ে যেতে পারে। তখন সে জুতা আর ব্যবহার উপযোগী থাকবে না।
০ পা থেকে জুতা খুললেই উৎকট গন্ধ। আর তাই অনেকেই অফিসে কিংবা কোথাও বেড়াতে গেলে জুতো খোলা থেকেই বিরত থাকেন। কিন্তু এধরনের পরিস্থিতির জন্য এখন নানান উপায় আছে। হোমিওপ্যাথি ঔষধ খেলেই এধরনের সমস্যা থেকে নিস্তার পাওয়া ােয়। পাশাপাশি এখন ব্র্যান্ডেড বেশ কিছু পায়ের পারফিউম পাওয়া যায়। ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করলেও কিছুটা উপকার পাওয়া যায়। যাদের খুব বেশী পা ঘেমে যায় তাদের প্রতি নিয়ত মোজা পরিবর্তন করে রাখা উচিত। আর সুতি মোজা ব্যবহার করা উচিত। ঘেমে গেলে জুতা শুকাতে দিন। চেষ্টা করুন রোদে দিতে। আর ঘামের গন্ধ তাড়াতে জুতার ভেতরে কর্পূর কিংবা সোডি বাইকার্ব ব্যবহার দিন।
০ সঙ্গে পলি ব্যাগ রাখতে পারেন। এতে বৃষ্টির পানি থেকে জুতা রক্ষায় পলি ব্যাগে ভরে ফেলতে পারবেন। চাইলে কিছু ওয়াটার প্রুফ কালি পাওয়া যায়, এগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, জুলাই ০৭, ২০০৯
Leave a Reply