বৃক্ষপ্রেমীদের জন্য একটা দারুণ খবর আছে। ঢাকায় চলছে বৃক্ষমেলা। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ বৃক্ষমেলায় এবারের ্লোগান ‘গাছ লাগিয়ে ভরব দেশ, বদলে দেব বাংলাদেশ’।
এখানে ছোট-বড় মিলে মোট ১২৫টি স্টল রয়েছে। বেশির ভাগই বেসরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন। মেলা শুরুর পর থেকেই বৃক্ষপ্রেমীদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। মেলায় বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ও হোম ইস্টন লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে কক্সবাজার ও সুন্দরবনের পক্ষে ভোট নেওয়া হচ্ছে। বিক্রেতারা জানালেন, সাধারণত টবে ফল ধরে, এমন ফলদ গাছ বিক্রির পরিমাণ বেশি। তবে ঘরের সৌন্দর্যবর্ধক গাছ ও ক্যাকটাসের চাহিদাও রয়েছে। বিভিন্ন স্টলে উন্নত জাতের ফলন পাওয়ার বিভিন্ন কলাকৌশল, গবেষণা প্রকল্প প্রদর্শন করা হচ্ছে। পাম ও মুলিবাঁশের বীজও বেশ আকর্ষণ করছে দর্শনার্থীদের। এ ছাড়া ৬১ বছরের পুরোনো বটের বনসাইও কম দর্শনীয় নয়।
মেলায় পাওয়া যায় এমন কিছু গাছঃ আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, সফেদা, কুল, নারিকেল, বেদানা, লেবু, জলপাই, আমড়া, জাম্বুরা, পেয়ারা, ডালিম, কামরাঙা, তেঁতুল, করমচা, আতা, কদবেল, জামরুল, লটকন, কমলা, আঙুর, মালটা, চেরি, আপেল, কলা, নলিতা, পেয়ারা, কাজুবাদাম, অড়বরই প্রভৃতি।
ঔষধি গাছ
অর্জুন, অশোক, আমলকী, ডুমুর, কালোমেঘ, ঘৃতকুমারী, তুলসী, নিম, নিসিন্দা, থানকুনি, বহেড়া, বাসক, শতমূলী, হরীতকী, লজ্জাবতী, আনন্তমূল, পুদিনা, নাগেশ্বর, আগর, সর্পগন্ধা, পাথরকুচি, দুধরাজ, নিউমনিয়া প্রভৃতি।
বনজ গাছ
মেহগনি, শিশু, আকাশমণি, গামারি, চাপালিশ, দেবদারু, চন্দন, গর্জন, সেগুন, জারুল, বট প্রভৃতি।
ফুলের গাছ
চন্দ্রমল্লিকা, বিভিন্ন জাতের গোলাপ, গন্ধরাজ, রঙ্গন, কৃষ্ণচূড়া, উইপিং এজোনিয়া, বাগানবিলাস, চেরি, টগর, বেলি, হাসনাহেনা, দোলনচাপা, গাঁদা, মণিরাজ, স্টার, সিলভিয়া, লিলি, মোচেন্ডা, নাইটকুইন, দোপাটি প্রভৃতি।
ক্যাকটাস ও অর্কিড
জিমুন ক্যালিয়াস, ম্যামলারিয়া, রুবি, নুটো, ফিশহুক, ওভানশিয়া, চেনি চ্যারাস, মামস কাটসহ প্রায় ২০০ প্রজাতির ক্যাকটাস পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া অর্কিডের মধ্যে পেপোনডিলাম, অনসিডাম, ডেনড্রোবিয়াম, ফ্রানমক্সি, এসকড, ভেন্ডা, ক্যাফেব্লিয়া প্রভৃতি।
আরও কিছু বিশেষ গাছ
বিভিন্ন জাতের মরিচ, তোকমা, সালপালি, ঘেঁটকচু, চিনিপাতা, নাগমণি, ভাংলি, জাফরান, সাতকড়া, লবঙ্গ, তৈফর, আসফল, ডুমুর, পাম ট্রি, এয়ারকন্ডিশন, স্পাইডার, ক্রিসমাস ট্রি, চায়নিজ ঘাস, সাইকাস, মন্দির ঝাউ, মাধবীলতা, পান্থপথ প্রভৃতি গাছ।
আছে গাছবিষয়ক বই ও কীটনাশক
গাছের বিবিধ বিষয় ও গাছের পরিচর্যাবিষয়ক বইগুলোর দাম পড়বে পাঁচ থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে। আরও আছে কীট-পতঙ্গ দমনের জন্য ম্যালাথিয়ন, ফাংগাস, বেবিস্টিন, ইউরিয়া, পটাশ, টিএসপি, ডেলোসিস, স্প্রে মেশিন প্রভৃতি। এ ছাড়া মেলায় পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন রকমের টব, কাটা বাঁশসহ গাছ ঝুলিয়ে রাখার নানা সরঞ্জাম।
গাছের দামদর
চারা গাছের দাম পাঁচ থেকে ২০০ টাকা, ক্যাকটাস ২০ থেকে দেড় হাজার টাকা। ফলের কলম ৫০ থেকে এক হাজার টাকায় পাওয়া যাবে। এ ছাড়া বিভিন্ন দামে বিশেষ বিশেষ গাছ পাওয়া যাবে। শেরেবাংলা নগরে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে এ মেলা চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। রোজ সকাল নয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত চলা মেলায় ঢুকতে প্রবেশ মূল্যের প্রয়োজন হবে না।
মোছাব্বের রিবন
সূত্রঃ প্রথম আলো, জুন ১৬, ২০০৯
Leave a Reply