এ বিভাগে পেশাসংক্রান্ত যেকোনো প্রশ্ন পাঠাতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা সেসবের উত্তর দেবেন। এ বিভাগে চিঠি পাঠানোর ঠিকানাঃ ‘পেশা পরামর্শ’, কাজের খবর, প্রথম আলো, ১০০ কাজী নজরুলইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। এ ছাড়া ই-মেইল পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়
ভাষাবিজ্ঞান
* আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষে ভাষাবিজ্ঞান বিষয়ে সম্মান প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি।
এ বিষয়ে পড়ে ভবিষ্যতে কী ধরনের চাকরি পেতে পারি? বাংলাদেশে এ বিষয়ের প্রয়োগ কতটুকু পরিলক্ষিত হয়? বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে এ বিষয় কতটুকু সহায়ক ভূমিকা পালন করবে?
বহির্বিশ্বে এ বিষয়ের চাহিদা কেমন? দেশে-বিদেশে এ বিষয়ের ওপর বৃত্তির ব্যাপারে জানতে চাই।
ফাহিম ইব্রার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
পরামর্শঃ ভাষাবিজ্ঞান বিষয়ে পাস করার পর শিক্ষার্থীরা কিছু গবেষণাপ্রতিষ্ঠান যেমন, বাংলা একাডেমী, এশিয়াটিক সোসাইটি, মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট, পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ও যেসব প্রতিষ্ঠানে অনুবাদের কাজ রয়েছে সেখানে প্রাধান্য পেতে পারে।
এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দোভাষী হিসেবেও কাজ করতে পারে। ভালো ফল হলে কোনো কোনো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের শিক্ষক হিসেবেও নেওয়া হয়। অনেক এনজিওতে এ বিষয়ের শিক্ষার্থীরা কাজ করছে।
এ ছাড়া মুদ্রিত ও ইলেকট্রনিক-দুই সংবাদমাধ্যমেই এ বিষয়ের শিক্ষার্থীরা কাজ করছে। এ বিষয়ের অনেক প্রায়োগিক দিক আছে। উচ্চারণ, বানান, পত্রিকায় লেখা, সংবাদ পাঠ-এসব বিষয় এতে শেখানো হয়। পৃথিবীতে ছয়-সাত হাজার ভাষা আছে।
ধারণা করা হচ্ছে, অনেক ভাষা হারিয়ে যাবে। ভাষাগুলো রক্ষার জন্য ভাষাবিজ্ঞানের গবেষণা খুবই দরকারি। ভাষা আগে কেমন ছিল, ভাষার অবস্থান-এসব বিষয় ভাষাবিজ্ঞানীর কাজ।
ভাষাবিজ্ঞানে বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে আলাদা কোর্স থাকে। এসব বিষয় ভালোভাবে চর্চা করলে বিসিএস পরীক্ষায় অবশ্যই ভালো করবে। বাংলা বিষয়ে ‘পদ’থেকে ‘কারক’পর্যন্ত এবং ইংরেজি বিষয়ে গ্রামারের সব দিক পড়ানো হয়। এ ছাড়া বাংলা সাহিত্যের আদিযুগ, মধ্যযুগ, চর্যাপদ- সবই পড়ানো হয়। তাই বিসিএসের ক্ষেত্রেও বিষয়টি যথেষ্ট সহায়ক হতে পারে।
আর আমেরিকা, ইউরোপসহ বহির্বিশ্বের সব জায়গাতেই এ বিষয়ের গুরুত্ব ও চাহিদা অনেক বেশি। বিদেশে স্কলারশিপের ক্ষেত্রেও আমাদের ছাত্রছাত্রীরা ভালো করছে।
পরামর্শ দিয়েছেন-মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, প্রভাষক, ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
Leave a Reply