• Skip to main content
  • Skip to site footer

Bangla Health Tips

Bangla Health Tips, News and Information (বাংলা হেলথ টিপস)

বিষয়বস্তু অনুসারে

  • স্বাস্থ্য সংবাদ
  • লাইফস্টাইল
  • শরীরচর্চা
  • ১৮+

অন্যান্য সেকশন

  • লাইব্রেরি
  • ইবুক
  • জোকস
  • লিরিক
  • ডিকশনারি
  • ই-বাংলা

বাংলা লাইব্রেরি

Read Bangla Books (বাংলা বই) online FREE. No PDF download required for Bengali Books. Bangla Book Library is a Unicode based mobile friendly website.

Bangla Library

গরমে চর্মরোগ

You are here: Home / স্বাস্থ্য সংবাদ / গরমে চর্মরোগ

কিছু কিছু চর্মরোগ আছে, যা গরম এলেই দেখা দেয় আবার শীত এলে আপনা আপনিই কমে যায়। সে রকম দু-একটি রোগ নিয়ে আজ সংক্ষিপ্ত আকারে আলোচনা করা যাক। যারা ঘামাচিতে ভোগেন তারা লক্ষ্য করে থাকবেন গরম চলে গেলে ঘামাচি চলে যায়। যারা দাদে ভোগেন তারা দেখবেন গরম কাল এলেই তা বাড়তে থাকে এবং প্রচণ্ড চুলকায়। যাদের শরীরে ছুলি হয় তারা লক্ষ্য করলে দেখবেন শীত এলে ছুলি আর দেখা যায় না। কিন্তু গরমকাল আসতে না আসতেই তা আবার ফুটে উঠতে থাকে।

প্রথমতো দাদের কথায় আসা যাক, গরম এলে শরীরে ঘাম হয় এবং শরীর ভেজা থাকে। ফলে শরীরে ছত্রাক বা ফাংগাস জন্মায়। মনে রাখতে হবে ভেজা শরীরই হলো ছত্রাক জন্মানোর উর্বর ক্ষেত্র। তাই যাদের শরীরে ঘাম বেশি হয়, তারা সব সময় ঘামে ভেজা কাপড় এড়িয়ে চলবেন। কাপড় ঘামে ভিজে জবজব হয়ে আছে অথচ আপনি তা পাল্টালেন না তা হলে আপনার শরীরে দাদ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। আবার যারা শারীরিকভাবে মোটা তাদের দেহ বেশি ভেজা থাকতে দেখা যায়। সেই ভাঁজের মধ্যে ঘাম আর ময়লা বেশি জমে থাকে বলে দেহের ভাঁজযুক্ত স্থানে ছত্রাক বা ফাঙ্গাস বেশি হতে দেখা যায়। এক হিসাবে দেখা গেছে আমাদের দেশে প্রতি বছর অন্ততপক্ষে ৭০-৮০ হাজার লোক রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। আবার বিশ্বব্যাপী এক পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ লোক তাদের জীবদ্দশায় কখনো না কখনো এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন।

ছত্রাক বা ফাঙ্গাসজনিত যেসব রোগ আমাদের দেশে দেখা যায় সেগুলোকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছেঃ

(১) দাদ, (২) ছুলি ও (৩) ক্যানডিডিয়াসিস

এই তিন ধরনের ছত্রাক প্রজাতির সবই মূলত ত্বকের বাইরের অংশকে আক্রমণ করে এবং সেই আক্রমণ স্যাঁতসেঁতে, নোংড়া এবং ঘর্মাক্ত দেহে সবচেয়ে বেশি হতে দেখা যায়।

দাদঃ দাদ দেহের যেকোনো স্থানে দেখা দিতে পারে। যে স্থানে দেখা দেয় সেই স্থানটিতে গোলাকার চাকার মতো দাগ দেখা যায়। যার মধ্যখানের চামড়া প্রায় স্বাভাবিক আকারে দেখতে হলেও দাগের পরিধিতে ছোট ছোট গোটা দেখা যায় এবং দাগের পরিধি উঁচু বিভক্তি লাইন আকারে লক্ষ্য করা যায়। চুলকালে সেখান থেকে কষ ঝরতে থাকে। শরীরের যেকোনো স্থানে এর আক্রমণ ঘটতে পারে। তবে দেখা গেছে, সাধারণত তলপেট, পেট, কোমর, পাছা, পিঠ, মাথা, কুচকি ইত্যাদি স্থানে এর আক্রমণ বেশি ঘটতে দেখা যায়।

ছুলিঃ এটিও একটি ছত্রাকজনিত চর্মরোগ। ছত্রাকের যে জীবাণু দিয়ে এ রোগটি হয় তার নাম ম্যালাছাজিয়া ফার ফার। গরমকালে এ রোগটি হয় এবং শীতকাল এলে এমনিতেই যেন মিলিয়ে যায়। গরমকালে এই রোগ হওয়ার কারণ হচ্ছে ত্বক ঘামে ভেজা থাকে ফলে ভেজা স্থানে এই রোগের জীবাণুর আক্রমণ ঘটে। এ রোগে আক্রান্ত স্থানে হালকা, বাদামি, সাদা গোলাকৃতির দাগ হতে দেখা যায়। সাধারণত বুক, গলার দু’পার্শ্ব, ঘাড়ের পেছন দিক, পিঠের ওপরের অংশ, বগলের নিচে, এমনকি সারা শরীরেও হয়ে থাকতে পারে। এ রোগে আক্রান্ত ত্বক দেখতে সাদা হয় তাই অনেকে আবার একে শ্বেতি বলেও ভাবতে শুরু করে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে শ্বেতির সাথে এর কোনোই সম্পর্ক নেই।

ঘামাচিঃ গরমকালের আর একটি বিব্রতকর রোগের নাম হচ্ছে ঘামাচি। এ রোগটি গরমকালেই হয়। শীত এলে আপনা আপনিই রোগটি ভালো হয়ে যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগটির নাম হলো মিলিয়ারিয়া। এটি একটি ঘর্মগ্রন্থির রোগ। ঘর্মগ্রন্থির নালী অতিরিক্ত আর্দতা আর গরমে বন্ধ হয়ে এই রোগের সৃষ্টি করে। তবে অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছলতা থাকলে এ রোগটি থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। যেমন ধরুন কোনো ব্যক্তি যদি ঘরে, অফিসে এবং গাড়িতে এয়ারকুলার ব্যবহার করেন তবে বলা যায়, তার এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা গরমকালেও নেই। যারা তা পারেন না তাদের সব সময়ই ঠাণ্ডা পরিবেশে থাকতে হবে। অর্থাৎ একটি ফ্যান অন্তত সার্বক্ষণিকভাবে মাথার ওপরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। খোলামেলা অর্থাৎ আবদ্ধ ঘর না হওয়াই বাঞ্ছনীয়। গ্রীষ্মকালে দেহ থেকে প্রচুর পরিমাণে ঘাম নিঃসরণ হতে থাকে ফলে তখনকার এত বেশি পরিমাণ নিঃসরণ ঘর্মগ্রন্থির নালীকে ফুটো করে ত্বকের নিচে এসে জমা হতে থাকে, যা পানিভর্তি ছোট ছোট দানার আকারে ফুলে উঠতে দেখা যায় এবং যা চুলকায় এবং তাতে সামান্য জ্বালাপোড়া ভাবও থাকে। মূলত এটাই হচ্ছে ঘামাচি।

গামাচি তিন ধরনের হয়। প্রথমে আসা যায় মিলিয়ারিয়া, কৃস্টালিনা­ এ ক্ষেত্রে ত্বক দেখতে প্রায় স্বাভাবিক বলেই মনে হয়। সাধারণত কোনো উপসর্গ থাকে না। দ্বিতীয়টি অর্থাৎ মিলিয়ারিয়া, রুবরার ক্ষেত্রে ঘর্মনালীতে বদ্ধতা দেখা দেয় এবং এ ক্ষেত্রে ত্বকের ওপরে ছোট ছোট অসংখ্য গোটা হতে দেখা যায় এবং গোটার মাথায় পানির দানা থাকতেও পারে, আবার নাও থাকতে পারে এবং ত্বক স্বাভাবিকের চেয়ে আপেক্ষিকভাবে লালচে রঙের দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে থাকে প্রচণ্ড চুলকানি, যা শরীরের মূল অংশ অর্থাৎ বুক, পিঠ ও ঘাড়ে বেশি হতে দেখা যায়। তৃতীয়টি বা মিলিয়ারিয়া প্রফান্ডা এর ক্ষেত্রে ঘর্মানালীর বদ্ধতা থাকে ত্বকের অনেক গভীরে। ফলে ত্বক দেখতে অনেকটা স্বাভাবিক ধরনের বলে মনে হতে পারে। এ তিনটির মধ্যে দ্বিতীয়টির আক্রমণ হয় বেশি তীব্র। একে Heat rash-ও বলা হয়ে থাকে। গরম ও স্যাঁতস্যেঁতে আবহাওয়ায় এ রোগ বেশি হয়। তেল মাখলে এ রোগের তীব্রতা বেড়ে যেতে পারে। যারা এ রোগে ভুগছেন তারা গরম স্যাঁতস্যেঁতে ও আবদ্ধ পরিবেশ এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজন হলে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

——————-
ডা. দিদারুল আহসান
লেখকঃ চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ, চেম্বারঃ আলরাজী হাসপাতাল, ১২, ফার্মগেট, ঢাকা।
দৈনিক নয়া দিগন্ত, ১১ মে ২০০৮

May 11, 2008
Category: স্বাস্থ্য সংবাদTag: ঘামাচি, চুলকানি, ছুলি

You May Also Like…

শীতকালে শরীরের কিছু কিছু অংশ খুব চুলকায় কেন?

মাইগ্রেন থেকে রেহাই পেতে

শীতকালীন চর্মরোগে করণীয়

পিরিয়ড অনিয়মিত হলে কী করবেন

Previous Post:কম ঘুম মহিলাদের ব্লাড প্রেশার বাড়ায়
Next Post:অনির্দিষ্ট মূত্রনালীর প্রদাহ

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Bangla Health Tips

Return to top