স্ক্যাবিস রোগটি চুলকানি নামে পরিচিত। এটি ছোঁয়াচে রোগ। একধরনের পরজীবীর আক্রমণে এ রোগ দেখা দেয়। বাড়িতে একজন আক্রান্ত হলে অন্য সদস্যরাও এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। যারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কম থাকে, তাদের এ রোগ বেশি হয়। এ রোগ আমাদের দেশে অনেক বেশি দেখা যায়। স্পর্শের মাধ্যমে সাধারণত এ রোগ ছড়ায়। তা ছাড়া রোগীর ব্যবহূত কাপড়, গামছা, বিছানার চাদর ও বালিশ ব্যবহার করলে এ রোগ হতে পারে।
লক্ষণ
সারা শরীর চুলকাতে পারে, তবে আঙুলের ফাঁকে, নিতম্বে, গোপনাঙ্গে, হাতের তালুতে, কবজিতে, বগল ও নাভি এবং কনুইয়ে চুলকানি শুরু হয় এবং পরে এ স্থানগুলোতেই সমস্যা বেশি থাকে।
চুলকানি রাতে বেশি অনুভূত
ছোট ছোট ফুসকুড়ি ওঠে, যা খুব চুলকায় এবং তা থেকে পানির মতো তরল বের হতে পারে।
চুলকানির ফলে ক্ষত হতে পারে এবং সে ক্ষেত্রে অন্য সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি দেখা দেয়।
প্রতিরোধ
পরিবারের একজনের হলে অন্যদের হওয়ার ঝুঁকি থাকে; তাই রোগীর যেকোনো ধরনের চুলকানি হলে তার বিছানা ও অন্যান্য ব্যবহূত কাপড় আলাদা করতে হবে। সুস্থ লোকদের সরাসরি রোগীর সংস্পর্শে না আসা উচিত।
চিকিৎসা
প্রধান ও খুব কার্যকরী চিকিৎসা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা। নিয়মিত রোগীর বিছানার চাদর, বালিশের কভার ও ব্যবহূত অন্যান্য কাপড় গরম পানিতে ফুটিয়ে পরজীবীমুক্ত করতে হবে। রোগ সারার পরও রোগীর ব্যবহূত জিনিসপত্র এভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে এ রোগের চিকিৎসা পরিবারের সবার একসঙ্গে নেওয়া যেতে পারে। l
ডা. মো. খলিলুর রহমান
চর্ম বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, অক্টোবর ০৪, ২০১৩
Leave a Reply