আঁশ হলো খাবারের সেই অংশ, যা পরিপাক হয় না এবং খাদ্য গ্রহণের পর অবশেষ হিসেবে জমা হয়ে মল তৈরি করে। পুষ্টি রক্ষায় তেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন না করলেও স্বাস্থ্য রক্ষায় খাবারে আঁশের উপস্থিতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আঁশের গুরুত্ব:
১. দেহের অতিরিক্ত চর্বি নিষ্কাশনে সহায়তা করে।
২. মলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যসহ বৃহদান্ত্রের বিভিন্ন রোগ যেমন: কোলন ক্যানসার, পাইলস, কোলাইটিস, অ্যাপেন্ডিসাইটস প্রভৃতি রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৩. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
৪. কোলন ক্যানসার নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
৫. খাদ্যের আঁশ স্তন ক্যানসার প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের প্রতিদিন কমপক্ষে ৪০ গ্রাম আঁশ গ্রহণ করা উচিত। তবে অতিরিক্ত আঁশ আবার বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যেমন ক্যালসিয়াম, আয়রন ইত্যাদি শোষণে বাধা দেয়।
খোসাসহ নাশপাতি, খোসাসহ আপেল, বার্লি বা যবের দানা, মসুর ডাল, শিম, মটরশুঁটি, আস্ত ফল, শাকসবজি, খাদ্যশস্য, ডাল ইত্যাদি খাবারে আঁশ থাকে।
মায়ো ক্লিনিক।
Leave a Reply