‘পরিপক্বতা’ অর্জনের ক্ষেত্রে পুরুষেরা বিপরীত লিঙ্গের তুলনায় ১১ বছর পিছিয়ে থাকে। নতুন এক গবেষণায় দাবি করা হচ্ছে, পুরুষের পূর্ণতা আসে ৪৩ বছর বয়সে।
নারী-পুরুষের ‘পরিপক্বতা’ অর্জনে ভিন্নতার তুলনা করতে যুক্তরাজ্যে নিকেলোডিওন ইউকে নামের একটি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে এ গবেষণা পরিচালিত হয়। গবেষকেরা বলেন, নারীর পূর্ণতা অর্জনের গড় বয়স ৩২ বছর। নারী ও পুরুষ যথাক্রমে গড়ে তাঁদের জীবনের ত্রিশোর্ধ্ব ও চল্লিশোর্ধ্ব অবস্থা পর্যন্ত অপরিপক্ব থাকেন। গবেষণায় অংশগ্রহণকারী প্রতি ১০ জন নারীর আটজনই মনে করেন, পুরুষেরা চিরকালই শিশুসুলভ আচরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে যায়। বায়ুত্যাগ, ঢেকুর, দিনের শুরুতেই ফাস্টফুড খাওয়া কিংবা ভিডিও গেম খেলার মতো অভ্যাসগুলো ছাড়া তাঁদের জন্য সত্যিই কঠিন। এ ছাড়া তাঁরা ঝগড়ায় নীরব থাকেন, সাধারণ খাবার তৈরিতেও পারদর্শী নন এবং পুরোনো কৌতুক বারবার বলতে অভ্যস্ত।
মেয়েদের এ রকম ধারণায় গবেষণায় অংশগ্রহণকারী পুরুষদের বেশির ভাগই একমত হন। এ ছাড়া তাঁরা বলেন, মেয়েদের পূর্ণতাপ্রাপ্তি সাধারণত তাঁদের ৩২ বছর বয়সের মধ্যেই ঘটে যায়।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারী প্রতি ১০ নারীর মধ্যে তিনজন তাঁদের স্বামীর অতি শিশুসুলভ আচরণের কারণে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। এ ছাড়া ৪৬ শতাংশ নারী দাবি করেন, তাঁদের সঙ্গী পুরুষকে অনেকটা মায়ের মতোই দায়িত্ব নিয়ে দেখাশোনা করতে হয়।
তবে পুরুষের এই শিশুসুলভ বৈশিষ্ট্য তাঁদের সন্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়তে সহায়ক হয়।
টেলিগ্রাফ।
Leave a Reply