আমাদের শরীরের ৯৯ শতাংশ ক্যালসিয়াম জমা থাকে হাড়ে। হাড়ের ঘনত্ব ও জোর অনেকটাই নির্ভর করে এই ক্যালসিয়ামের পরিমাণ ও ঘনত্বের ওপর। হাড়ের গুরুত্বপূর্ণ এই উপাদান ক্ষয় বা কমে যাওয়ার কারণে হাড় ভঙ্গুর ও হালকা হয়ে যায়। এমন সমস্যাকে বলে অস্টিওপোরোসিস।
দেহে হাড়ের বৃদ্ধি ও গঠন জন্মের পর থেকে একটানা ২৫-৩০ বছর বয়স পর্যন্ত চলে। নারীদের মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর হাড়ের ঘনত্ব মারাত্মকভাবে কমে যায়। নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই বার্ধক্য একটি বড় ঝুঁকি। এ ছাড়া পারিবারিক ও জাতিগত ঝুঁকি, তামাক ও ক্যাফেইন, স্টেরয়েড-জাতীয় ওষুধের দীর্ঘদিনের ব্যবহার, থাইরয়েড ও অন্য কিছু হরমোনজনিত সমস্যা, বিভিন্ন ধরনের বাত, অত্যধিক মদ্যপান, অলস ও প্রায় শয্যাশায়ী জীবনযাপন, এমনকি বিষণ্নতা এ রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে বাড়িয়ে দিতে পারে। ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
অস্টিওপোরোসিস ফাউন্ডেশন এই রোগ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অনুসরণ করার পরামর্শ দিচ্ছে। এগুলো হলো:
-শৈশব থেকে সুষম খাদ্য গ্রহণ, যাতে থাকবে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম, অন্যান্য ভিটামিন ও যথেষ্ট আমিষ।
-নিয়মিত ব্যায়াম বা কায়িক পরিশ্রম।
-ধূমপান ও মদ্যপান এড়িয়ে চলা।
-মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর প্রয়োজনে ক্যালসিয়াম বড়ি সেবন।
-বয়স্কদের ওজনহীন ব্যায়ামের অভ্যাস।
-প্রয়োজনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা গ্রহণ।
ডা. সুলতানা মারুফা
বারডেম হাসপাতাল।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুন ০৫, ২০১৩
Leave a Reply