মাথাব্যথা একটি উপসর্গ। জীবনে সবাই কম-বেশি এ উপসর্গে ভোগেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মাথা ধরার কারণ হলো টেনশন, স্ট্রেস ও দুশ্চিন্তা। দুশ্চিন্তা, শব্দ, আলো ও ধোঁয়ায় এটি বেড়ে যায়। টেনশনজনিত মাথাব্যথা সম্পূর্ণ নিরাময় করা যায় না। তবে ভেবে দেখুন ঠিক কী কী ঘটনা ঘটলে মাথাব্যথা শুরু হয়, এগুলো এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করুন। অকারণে মুঠো মুঠো প্যারাসিটামল বা পেইনকিলার না খেয়ে আইসপ্যাক, ম্যাসাজ ও রিলাক্সেসন বা শিথিলায়নপদ্ধতিতে ব্যথা কমান।
মাথাব্যথার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো মাইগ্রেন। ব্যথা শুরু হওয়ার আগে অনেক সময় চোখ ঝাপসা হয়, চোখে আঁকাবাঁকা লাইন দেখা যায়, বমি আসতে পারে। তারপর শুরু হয় একপাশে তীব্র ব্যথা। বমিও হতে পারে। এ সময় অন্ধকারে থাকতে ভালো লাগে। কয়েক ঘণ্টা পর ব্যথা চলে যায় এবং খুব অবসন্ন লাগে, গভীর ঘুম হয়। মাইগ্রেনের রোগীরা কিছু বিষয় মনে রাখবেন।
—ভালো ও গভীর ঘুমের অভাব, দুশ্চিন্তা, অনেকক্ষণ টিভি বা কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা, উচ্চ কোলাহল, অতি উজ্জ্বল আলোতে মাইগ্রেন হয়। এগুলো এড়িয়ে চলুন।
—চকলেট, পনির, অ্যালকোহল, টেস্টিং সল্ট খেলে মাইগ্রেন হতে পারে।
—মেয়েদের জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খেলে এটি বাড়তে পারে। মাসিকের সময় মাইগ্রেন বেড়ে যেতে পারে।
জ্বর হলেও মাথাব্যথা হয়। তবে অসহনীয় মাথাব্যথা, সঙ্গে চোখ ঝাপসা হয়ে আসা, কথা জড়িয়ে যাওয়া, কোনো একদিক বা হাত-পা অবশ হয়ে যাওয়া, সকালবেলা বেশি ব্যথা হওয়া এবং হাঁচি, কাশি বা মাথা নিচু করলে ব্যথা বেড়ে যাওয়াটা ভালো লক্ষণ নয়। তাই সব মাথাব্যথাকে অবহেলা করবেন না। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ডা. মৌসুমী মরিয়ম সুলতানা
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মার্চ ০৬, ২০১৩
Leave a Reply