যন্ত্র যদি চিন্তাভাবনা ও আবেগ প্রকাশ করতে পারে, তাহলে কেমন হবে? সুইজারল্যান্ডের একদল বিজ্ঞানী এবার এ রকম একটি যন্ত্রই তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে মানুষের মস্তিষ্কের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ এই যন্ত্র উদ্ভাবিত হলে গোটা মানবজাতির অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে বলেও অনেকে আশঙ্কা করছেন।
সুইজারল্যান্ডের ফেডারেল পলিটেকনিক স্কুল অব লসানের (ইপিএফএল) মানব মস্তিষ্ক প্রকল্পের (এইচবিপি) দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী অঁরি মারক্রাম ও তাঁর সহযোগীরা মানুষের মস্তিষ্কের সামগ্রিক উদ্দীপনা কম্পিউটারের মাধ্যমে তৈরি করছেন। তাঁদের আশা, এই প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে মানুষের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের উৎস সম্পর্কে সুগভীর অন্তর্দৃষ্টি অর্জন সম্ভব হবে এবং মস্তিষ্কের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা ও কম্পিউটার প্রযুক্তিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।
এইচবিপির জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ১০০ কোটি ইউরো অর্থায়নের সম্ভাবনা রয়েছে। আনুমানিক ১০ বছরব্যাপী এই প্রকল্পটি হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানগুলোর একটি। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে গত ২৮ জানুয়ারি এক সম্মেলনে এইচবিপির ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। অঁরি মারক্রাম বলেন, মানব মস্তিষ্কের বিভিন্ন উদ্দীপনা শনাক্ত করে সেগুলো কম্পিউটারভিত্তিক সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে পুনর্গঠন করা হবে। সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম সেই জীববৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া কৃত্রিম উপায়ে রোবটে সংযোজন করা হবে। তখন সেই রোবট চিন্তাভাবনার সামর্থ্য বা পরিপূর্ণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অর্জন করবে। এই আবিষ্কারের প্রয়াসকে ভয় পাওয়ার পরিবর্তে স্বাগত জানানো উচিত। এইচবিপি সফল হলে মানুষের মস্তিষ্কের জটিল অসুখ-বিসুখের চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
টেলিগ্রাফ।
Leave a Reply