যাঁরা পানি নিয়ে অনেকক্ষণ কাজ করেন বা বেশি কাজ করেন, বিশেষত নারীরা, তাঁদের হাতে চুলকানি হয়ে থাকে। এ ছাড়া মাছবিক্রেতা, সবজিবিক্রেতা ও চিকিৎসকদের মধ্যে এ রোগের প্রকোপ বেশি। সাধারণত সাবান, ডিটারজেন্ট বা সোডাজাতীয় বস্তু বেশি ধরার কারণে এমনটি হয়। তবে অনেকেরই সবজির রস, প্লাস্টিকের দ্রব্যাদি, এমনকি মিস্ত্রিদের সিমেন্ট বা রং থেকেও এটি হতে পারে। চুলকানিকে অবহেলা না করে সঠিক কারণটি জানুন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
চুলকানি মূলত অ্যালার্জিজনিত হাইপারসেনসিটিভিটি প্রতিক্রিয়ার ফল। সবার যে একই কারণে ঘটবে, তা নয়। প্রাথমিকভাবে হাতের আঙুলগুলো লাল হয়ে যায়। পরে শুকনো বোধ হয় এবং ফেটে যায়। কারও কারও ফুসকুড়ির মতো দেখা যায়। এটি অনেক চুলকায়।
তীব্র ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার না করে মৃদু সাবান ব্যবহার করে দেখুন। প্রয়োজনে বাসন-কোসন বা কাপড়-চোপড় ধোয়ার সময় দস্তানা ব্যবহার করুন। হাত ধোয়া, কাপড় ধোয়ার কাজে কড়া অ্যান্টিসেপটিক তরল যেমন ডেটল বা স্যাভলন ব্যবহার করা উচিত নয়। বড় নখ দিয়ে চুলকিয়ে রক্ত বের করে ফেলবেন না, এতে ত্বকে সংক্রমণ হতে পারে। প্লাস্টিক ও ইমিটেশন অলংকার প্রয়োজনে ত্যাগ করুন। হাতে পানি লাগে এমন কাজ শেষে শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলুন ও ভ্যাসলিন লাগিয়ে শুষ্কতা দূর করুন।
ডা. এম মনিরুজ্জামান খান
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৩
Leave a Reply