অনাগত সন্তানের চুলের রং লালচে হলুদ (জিনজার) হবে কি না, ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে কৌতূহলী দম্পতিরা তা সহজেই জানতে পারবেন। যুক্তরাজ্যের রাজধানী শহর লন্ডনে আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় এক প্রদর্শনীতে দর্শনার্থীদের ওপর এ পরীক্ষা চালাবেন বিজ্ঞানীরা।
এমসিওয়ানআর নামের একটি জিনের উপস্থিতির কারণে মানুষের চুল জিনজার রঙের হয়। ব্যক্তির বংশগতির বৈশিষ্ট্য ধারণকারী জিনের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য তাঁর মুখের লালা পরীক্ষা করা হবে। জিনজার জিন (এমসিওয়ানআর) শনাক্তকরণের এই পরীক্ষায় মানুষের পূর্বপুরুষও শনাক্ত করা যায়।
জিনজার জিনটি ডিএনএতে প্রচ্ছন্নভাবে উপস্থিত থাকে এবং পরবর্তী প্রজন্মে সঞ্চারিত হয়। মা ও বাবা উভয়ে এই জিন বহন করলে তাঁদের চার সন্তানের মধ্যে কেবল একজনের চুলের রং লাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ ছাড়া ওই দম্পতির সন্তানদের দুজনের একজন জিনটি বহন করে। ওই দম্পতির কেবল একজনের ডিএনএতে জিনজার জিন থাকলে সন্তানের চুল লাল হবে না, কিন্তু ওই বৈশিষ্ট্য আংশিকভাবে পরবর্তী প্রজন্মে সঞ্চারিত হবে। জিনবিজ্ঞানী জিম উইলসন বলেন, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে জিনজার জিন সঞ্চারিত হয়ে থাকে। তাই মা ও বাবার মধ্যে কারও চুলের রং জিনজার না হলেও লাল চুল নিয়ে তাঁদের সন্তান জন্ম নিতেও পারে।
লন্ডন অলিম্পিয়া নামের প্রদর্শনীকেন্দ্রে দর্শনার্থীরা ‘হু ডু ইউ থিংক ইউ আর?’ নামের অনুষ্ঠানে ওই পরীক্ষার সুযোগ পাবেন। ব্রিটেনে প্রতি ১০ জনে চারজনের জিনে লালচুলো সন্তান জন্মদানের ‘বিস্ময়কর’ বৈশিষ্ট্য রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। টেলিগ্রাফ।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জানুয়ারি ৩০, ২০১৩
Leave a Reply