ক্যানসার চিকিৎসায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে—এক-তৃতীয়াংশ ক্যানসার প্রতিরোধ করা যায়, এক-তৃতীয়াংশ নিরাময় করা যায় ও এক-তৃতীয়াংশ চিকিৎসার মাধ্যমে উপশম করা যায়। যে কয়েকটি কারণে বাংলাদেশে প্রতিরোধযোগ্য ক্যানসারের সংখ্যা বেশি, সেগুলো হচ্ছে, ধূমপান, সাদাপাতা, জর্দা, গুল ও খৈনি ব্যবহার করা, অল্প বয়সে বিয়ে, স্থূলতা ও হেপাটাইটিস বি এবং সি ভাইরাসের আক্রমণ। ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ হচ্ছে, সহজে সারছে না—এমন ক্ষত, শরীরের কোথাও চাকা বা গোটার আবির্ভাব, তিল বা আঁচিলের সুস্পষ্ট পরিবর্তন, খুব ক্লান্ত বোধ করা, ক্ষুধা কমে যাওয়া, দীর্ঘস্থায়ী কাশি বা গলা ভাঙা, মলত্যাগে পরিবর্তন আসা (ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা মলের সঙ্গে রক্ত যাওয়া) জ্বর, রাতে ঠান্ডা লাগা বা ঘেমে যাওয়া, অস্বাভাবিকভাবে ওজন কমা—এসব লক্ষণ থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মোয়াররফ হোসেন
অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, ক্যানসার বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, নভেম্বর ২৮, ২০১২
Leave a Reply