মুটিয়ে যাওয়া কেবল ভুঁড়ি আর ওজনই বাড়ায় না, মানসিক কর্মকাণ্ডেও বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ক্রমে ভোঁতা হয়ে যায় মানুষের বোধশক্তি। এমনটাই দাবি করেছেন এক দল ব্রিটিশ গবেষক। তাঁদের এই গবেষণাবিষয়ক নিবন্ধ বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী নিওরোলজিতে প্রকাশিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।
মুটিয়ে যাওয়ার কারণে মস্তিষ্কে এই ক্ষতিকর প্রভাব কেন পড়ে, এ ব্যাপারে গবেষকেরা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি। তবে রক্তে চিনির পরিমাণ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া এর পেছনে ভূমিকা রাখতে পারে বলে তাঁরা মনে করছেন। গবেষকদের তথ্যমতে, খুব বেশি মুটিয়ে যাওয়ার কারণে ‘ডিমেনশিয়া’ নামের এক ধরনের সমস্যা দেখা দেওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। এ সমস্যা মানুষের স্মৃতি বিলোপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এ গবেষণা চালাতে গিয়ে গবেষকেরা এক দশকের বেশি সময় ধরে ছয় হাজারের বেশি লোকের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। গবেষণায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের বয়স ৩৫ থেকে ৫৫ বছর।
গবেষকদের তথ্য অনুযায়ী, গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, যারা খুব বেশি স্থূল এবং যাদের শরীরে বিপাকীয় পরিবর্তনও স্বাস্থ্যসম্মত নয়, অন্যদের চেয়ে তাদের মেধাশক্তি বিলোপের হার বেশি। তবে এ গবেষণায় গবেষকেরা কেবল অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের মস্তিষ্কের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করেছেন, ডিমেনশিয়া নয়।
গবেষণায় অংশ নেওয়া আলঝেইমারস রিসার্চ ইউকের গবেষক শার্লি ক্র্যামার বলেন, ‘মস্তিষ্কের দুর্বল কর্মকাণ্ডের জন্য মুটিয়ে যাওয়া ও বিপাকীয় অস্বাভাবিকতা কেন দায়ী, আমরা এখনো তা জানতে পারিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই গবেষণায় যেমন বুদ্ধি-বিবেচনা কমে যাওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে, এর আগের গবেষণার ফলাফলে ধারণা পাওয়া গেছে যে মাঝবয়সে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেলে, নিয়মিত ব্যায়াম করলে, ধূমপান না করলে, রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করলে ডিমেনশিয়ার মতো জটিল সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
সূত্র: প্রথম আলো, আগস্ট ১৮, ২০১২
shaoson
আমার স্ত্রীর বয়স ২১ বছর। সে দিনে দিনে মোটা হয়ে যাচ্ছে। স্লীম হওয়ার কোন উপায় এবং ঔষধ আছে।
Bangla Health
পেট ভরে খেতে নিষেধ করুন। কম করে ঘন ঘন খেতে বলুন। সেই সাথে নিয়মিত হাঁটাচলা করা দরকার।
সাদা ভাত, ময়দা, সুগার, সোডিয়াম জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে বলুন।