আর তিন দিন পরই বিদায় নেবে ২০১১ সাল। আসবে নতুন বছর। ২০১২। নতুন দিন, নতুন বছর সব সময়ই নিয়ে আসে নতুন আশার বার্তা, নতুন কোনো আনন্দধ্বনি। পুরোনো জীর্ণতা ও গ্লানি মুছে দিতেই নতুনের আগমন। নতুন দিনে আমরা নতুন শপথ করি, নতুন করে স্বপ্ন দেখি, নতুন আশায় বুক বাঁধি। গেল বছরটা যাঁরা রোগ-শোকে ভুগেছেন, যাঁরা অসুখে-বিসুখে কষ্ট পেয়েছেন; নতুন বছরে তাঁদের সব দুঃখ, সব অসুখ ধুয়েমুছে যাক। তেমনি পুরোনো বছরে যাঁরা স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে পারেননি, যাঁরা ছাড়তে পারেননি ধূমপান বা অন্যান্য বদভ্যাস—নতুন বছরে নিশ্চয়ই পারবেন, এই প্রত্যয় রাখতে পারেন বুকে। এই সময়ে আমরা অনেক কিছুই চাইতে পারি, ভাবতে পারি। প্রতিশ্রুতি করতে পারি অনেক কিছুর। আসুন, সে রকম কিছু ভাবনা ভাগাভাগি করে নিই সবার সঙ্গে।
চাই ভেজালমুক্ত, বিষমুক্ত আহার
বিগত বছরগুলোর মতো গেল বছরটাও সাধারণ মানুষ রেহাই পাননি ভেজাল, ফরমালিন আর বিষাক্ত রাসায়নিকের কবল থেকে। স্বাস্থ্যকুশল ও স্বাস্থ্যবিদেরা সারা বছরই বলে গেছেন ফলমূল, শাকসবজি বেশি খাওয়ার পক্ষে; কিন্তু দুঃখের বিষয়, এই তাজা শাকসবজি ও ফলমূলেই বেশি মেশানো হয় রাসায়নিক ও ফরমালিনজাতীয় দ্রব্য। বাজারে মাঝেমধ্যে এসব বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্যমিশ্রিত কাঁচা জিনিস ধরা পড়ে বটে, জরিমানা হয়, পত্রিকায় সংবাদ হয়। কিন্তু স্থায়ী সমাধান হয় না। সাধারণ কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে অভিজাত সুপারশপ ও মলগুলোতেও এই রাসায়নিক দ্রব্যমিশ্রিত খাদ্যদ্রব্যের ছড়াছড়ি। মাছের বেলায়ও সেই একই কথা। আমরা বলি, লাল মাংস পরিহার করুন, বেশি করে মাছ খান। মাছে আছে স্বাস্থ্যকর তেল, আছে আমিষ। আর মাছে-ভাতে বাঙালি—এ প্রবাদটাও তো রক্ষা করা জরুরি। কিন্তু মাছে যে আছে ফরমালিন। শুধু মাছে কেন, রাসায়নিক আছে চালে, মুড়িতে, চিনি ও জুসে। কাপড়ের রং মেশানো হচ্ছে খাদ্যদ্রব্যে। বিশেষ করে জুস, কেচাপ ইত্যাদিতে। ভেজাল আছে এমনকি শিশুখাদ্যেও। কী অদ্ভুত দেশ আমাদের! জানতে ইচ্ছে করে দেশের যাঁরা মাথা, নীতিনির্ধারক ও কর্তৃপক্ষ—তাঁরা ও তাঁদের সন্তানেরা কী খান। তাঁদের খাবার কি সব বিদেশ থেকে আসে? এই ভেজাল ও ক্ষতিকর রাসায়নিক থেকে হতে পারে পেটের পীড়া, ক্যানসার, কিডনি বিকলসহ নানা শারীরিক সমস্যা। গর্ভবতী মায়েরা এসব বিষাক্ত রাসায়নিক খেলে বিকলাঙ্গ ও প্রতিবন্ধী শিশুর জন্ম দিতে পারেন। এজাতীয় রাসায়নিক খেলে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে, হতে পারে নানা অসুখ-বিসুখ। আমরা আশা করব, নতুন বছরে টনক নড়বে সরকার ও কর্তৃপক্ষের, শুভবুদ্ধির উদয় হবে ব্যবসায়ী ও উৎপাদকদের। নিজেদের অধিকার সংরক্ষণে সোচ্চার হয়ে উঠবেন সাধারণ মানুষ। উটপাখির মতো মুখ লুকিয়ে এই অনাচার নীরবে সইব না আর আমরা। এবার প্রতিবাদ করব, প্রতিকার চাইব।
চাই নির্মল বায়ু, বিশুদ্ধ পানি
বাতাস ও পানি—বেঁচে থাকার জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস দুটিই আজ হয়ে পড়েছে দূষিত। শহরের বাতাসে গাড়ির কালো ধোঁয়া, কারখানার ধোঁয়া, আবর্জনার দুর্গন্ধ—সব মিলিয়ে এক অসহনীয় পরিবেশ। এমনকি গ্রামের বাতাসও আজ দূষিত ইটভাটা ও যানবাহনের নির্গত ধোঁয়ায়। গবেষকেরা বলছেন, বাংলাদেশে হাঁপানি, ক্রনিক ব্রংকাইটিস ও অন্যান্য বক্ষব্যাধি বেড়ে চলেছে আশঙ্কাজনক হারে। এমনকি শিশুরা হাঁপানি ও ফুসফুসের সংক্রমণে অহরহ আক্রান্ত হচ্ছে। আর এ জন্য দায়ী দূষিত বাতাস। ঠিক তেমনি, বিশুদ্ধ পানির অভাবে এখনো ডায়রিয়া ও পেটের পীড়া হচ্ছে সাধারণ জনগণ, বিশেষ করে শিশুদের প্রধানতম রোগ। প্রতিবছর বর্ষা ও বর্ষা-পরবর্তী সময়ে আইসিডিডিআরবিসহ হাসপাতালগুলো উপচে পড়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীতে। এ বছরও ব্যতিক্রম হয়নি; বরং বর্ষার মতো শীতকালেও শিশুরা অনেক বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়ায়। ডায়রিয়া ছাড়াও টাইফয়েড, আমাশয়, জন্ডিস, ফুড পয়জনিং, কৃমি সংক্রমণসহ নানা পানিবাহিত রোগের প্রকোপ আমাদের দেশে বেশি। বিশুদ্ধ পানির অভাবই এর মূল কারণ। দূষিত হচ্ছে নদী, পুকুর এমনকি নলকূপও। শহরে ওয়াসার পানিতে ভাসে আবর্জনা, আলকাতরার মতো কালো রং। আসছে বছরে সবাই আশা করি সচেতন হবেন এ ব্যাপারে। কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসবে দূষণ রোধ করতে, প্রতিটি এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে। আর জনগণ সচেতন হবেন বিশুদ্ধ পানি পান করার ব্যাপারে। ঘরে ঘরে প্রতিটি পরিবারকে বলব, পানি অবশ্যই ফুটিয়ে পান করবেন, অন্তত প্রায় আধঘণ্টা ফুটিয়ে। খাবার, তৈজসপত্র, শাকসবজি ও ফলমূল ফোটানো পানিতে ধুয়ে খাবেন। খাবার আগে ও টয়লেট ব্যবহারের পর ভালো করে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করবেন এবং শিশুদেরও তা করতে শেখাবেন। নিজের ও পরিবারের সুস্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকবেন। শিক্ষা ও সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।
সংক্রামক ব্যাধির বিনাশ চাই
কলেরা ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে এলেও বাংলাদেশে লেগে আছে নিত্যনতুন উপদ্রব। ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে বৈ কমছে না। জুলাই-আগস্ট মাসে ডেঙ্গুর আক্রমণে পর্যুদস্ত সবাই। মৃত্যুর হারও কম নয়। এসেছে নতুন রোগ চিকুনগুনিয়া, এনকেফালাইটিস, নিপাহ ভাইরাস, বার্ড ফ্লু ইত্যাদি। এ জন্য পরিবেশজনিত অসচেতনতাই দায়ী। মশার বিস্তার ও বংশবৃদ্ধি নির্মূল করা সদিচ্ছার ব্যাপার, তার অভাব রয়েছে। গবাদিপশু, পাখির সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে না পারলে নিজেরই বিপদ। এখনো দেশে অসংখ্য মানুষ সাপের বিষক্রিয়ায় মারা যায়। সাপের কামড়ের পর দ্রুত চিকিৎসা না পাওয়া বা না নেওয়াই এর মূল কারণ। যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া এখনো মূল ঘাতক। সঠিক সময়ে রোগনির্ণয় ও সঠিক চিকিৎসা পেলে এগুলো কোনো বড় রোগ নয়। সব শিশুকে টিকার আওতায় আনা, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করা ও রোগনির্ণয় এবং চিকিৎসা সহজলভ্য করা ছাড়া সংক্রামক ব্যাধির হাত থেকে রেহাই নেই। সরকারি-বেসরকারি সব মহলেরই মূল ভাবনা এখানে সন্নিবেশ করা উচিত।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা নিশ্চিত করুন
আসুন, নতুন বছরে আমরা অস্বাস্থ্যকর জীবনাচার বর্জন করি, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে অভ্যস্ত হই। প্রথমত, ধূমপান পুরোপুরিভাবে বর্জন করুন। আর একটিও সিগারেট নয়—নতুন বছরে এই হোক ধূমপায়ীদের শপথ। দ্বিতীয়ত, আসুন, বর্জন করি অতিরিক্ত তেল-চর্বি, লাল মাংস, মাখন-ঘি, চকলেট-ফাস্টফুড ও কোমল পানীয়। রসনাকে সংযত করি আর স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাই। খাদ্যতালিকায় বেছে নিই সবুজ শাকসবজি, সালাদ ও ফলমূল। আসুন, অভ্যাস পরিবর্তন করি। রেস্তোরাঁয় সপরিবারে খেতে গিয়ে অর্ডার দেওয়া যায় কোমল পানীয়র পরিবর্তে পানি, মাংসের কাবাবের বদলে সালাদ। ছোটদের বার্গার-হটডগ ও চিপস টিফিনে না দিয়ে দিতে পারি বাড়িতে তৈরি নুড্ল্স, রুটি-ডিমের স্যান্ডউইচ বা আপেল, কলা। শিশুদের রাতে শোয়ার আগে কোমল পানীয় বা চকলেট নয়, খেতে দিন এক গ্লাস দুধ। গরমে কোক-ফান্টার বদলে এক গ্লাস লেবুপানি, অতিথি সমাদরে সমুচা শিঙারার বদলে দিন দই-চিড়া। সেই পুরোনো ব্যবস্থায় ফিরে গেলে ক্ষতি কী? তৃতীয়ত, আসুন, এবার অলস জীবনযাপন ছেড়ে কায়িক শ্রমে উদ্বুদ্ধ হই। নিত্যদিন ট্রাফিক জ্যামে গাড়ির ভেতর আটকে না থেকে সপ্তাহে কদিন না-হয় হেঁটেই রওনা হন অফিসে—সময়ও বাঁচবে, স্বাস্থ্যও। বাড়িতে ও অফিসে লিফট না পেরিয়ে সিঁড়ি ধরুন। সপ্তাহান্তে বাড়িতে কাজ করুন, বাগান করুন, হেঁটে হেঁটে বাজার করতে যান। সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে টিভির সামনে মুখ গুঁজে না থেকে এদিক-ওদিক ঘুরতে যান, হাওয়া খান, বাচ্চাদের নিয়ে ব্যাডমিন্টন বা ক্রিকেট খেলার আসর বসান। নতুন বছরের পয়লা তারিখে শুভ সূচনা হোক আপনার মর্নিং ওয়াকের। নতুন সূর্যের দেখা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পায়ে হাঁটার জুতা পরে নিয়ে চলুন পার্কে বা রাস্তায়। শুরু করলে তা স্থায়ী হবেই। শুরুটাই বড় কথা। চতুর্থত, বিদায় দিন অপচিকিৎসা, টোটকা, ঝাড়ফুঁক ও তাবিজ-কবজকে। বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা নিন। অপচিকিৎসার বিপরীতে দাঁড়ান।
হাসিখুশি থাকুন, সুখে ঘুমান
মনটা শরীরের বাইরে নয়, শরীরেরই অংশ। মন ভালো থাকাও শরীর ভালো রাখার মধ্যে পড়ে। তাই মনমেজাজ ভালো রাখুন। নতুন বছরে শপথ নিন, এ বছর বাড়িতে, অফিসে কি রাস্তায় চটজলদি মেজাজ খারাপ করবেন না। সবার সঙ্গে হেসে কথা বলবেন। পরিবারের সদস্যদের সময় দেবেন, তাদের নিয়ে ঘুরতে যাবেন, রসিকতা করবেন—মন ভালো থাকবে তাতে। মাঝেমধ্যে বন্ধুদের আড্ডায় প্রাণ খুলে কথা বলবেন, হা হা করে হাসবেন—হার্ট সুস্থ থাকবে। শরীর ভালো রাখতে সুনিদ্রার কোনো বিকল্প নেই। ঘুম ভালো না হলে রক্তচাপ বাড়ে, হার্টের সমস্যা হয়, মেজাজ খিটখিটে থাকে, কর্ম-উদ্দীপনা কমে যায়। দেহে বিপাক ক্রিয়া ও হরমোন ওঠানামার যে জটিল রসায়ন, দিনে-রাতে তার সুনির্দিষ্ট তফাত থাকে। এই প্রাকৃতিক নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলে শরীর তা সইবে না। তাই রাত জাগার অভ্যাস ত্যাগ করুন। রাতের সিরিয়ালগুলো এ বছর থেকে বাদ। গভীর রাতে ফেসবুক বা সেলফোন ব্যবহারও আর নয়। রাত বিশ্রামের জন্য, এ সময় শরীর তার পরবর্তী দিনের শক্তি আর উদ্দীপনা আহরণ করে নেয়। আর দিন হচ্ছে কাজের জন্য। সকাল থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ুন কাজে। আর্লি টু বেড অ্যান্ড আর্লি টু রাইজ, মেকস আ ম্যান হেলদি ওয়েলদি অ্যান্ড ওয়াইজ। ছেলেবেলায় পড়া প্রবাদবাক্যটি একটা কাগজে লিখে মাথার কাছে লাগিয়ে রাখুন বছরের প্রথম দিনে। নতুন বছরের আপ্তবাক্য হোক এটি।
নতুন বছরের স্বাস্থ্য-বাজেট—অবহেলা নয়
স্বাস্থ্য খাতে পরিবারের একটা বাজেট বরাদ্দ থাকা দরকার। যেমন—ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার জন্য, নতুন কোনো ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম কেনার জন্য কিংবা ছুটিতে কক্সবাজার-সুন্দরবন বেড়াতে যাওয়ার জন্য আপনার প্রারম্ভিক একটা বাজেট থাকে। আমরা অকারণ শপিং, ফ্যাশন, অকল্যাণকর বাইরে খাওয়া বা অনর্থক উপহার দেওয়া-নেওয়া নিয়ে অনেক টাকা খরচ করি বটে, কিন্তু নিজের স্বাস্থ্য রক্ষার ব্যাপারে বড়ই উদাসীন থাকি। স্বাস্থ্য খাতে সামান্য অর্থ খরচ করতেও সায় দেয় না মন। এটি ঠিক নয়। বছরে অন্তত একবার কি দুবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা দরকার। এর মধ্যে পড়ে রক্তের সুগার, চর্বি, হিমোগ্লোবিন, হার্টের অবস্থা ইত্যাদি। এ ছাড়া বার্ষিক চোখ পরীক্ষা, ওজন মাপানো, রক্তচাপ মাপা। নারীদের ক্ষেত্রে বাড়তি কিছু, যেমন—জরায়ুর প্যাপ স্মিয়ার, স্তন পরীক্ষা। শিশুদের বেলায় তারা ঠিকমতো বাড়ছে কি না, ওজন ঠিক আছে কি না, ঘন ঘন অসুখে পড়ছে কি না। যাদের পরিবারে ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, হূদেরাগ ও ক্যানসারের ইতিহাস আছে, তাদের দরকার একটু বাড়তি সচেতনতা। খেয়াল রাখুন পরিবারের বয়স্ক সদস্যের দিকে। তাঁর দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস, নিদ্রা বা আচরণে কোনো নতুন পরিবর্তন স্বাস্থ্যহানিকর মন্দ কোনো কিছুর আভাস। পারিবারিক চিকিৎসক বা বন্ধু কোনো চিকিৎসকের সঙ্গে সর্বদা যোগাযোগ রাখুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ঠিকঠাক মেনে চলুন। স্বাস্থ্য নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা যেমন ভালো নয়, তেমনি ভালো নয় অতিরিক্ত উদাসীনতা। আমাদের সমাজে এই উভয় দলের লোকের সংখ্যা কম নয়। এই দলের বাইরে থাকুন। স্বাস্থ্যসচেতন থাকুন, স্বাস্থ্য নিয়ে ভীত নয়।
নতুন বছরে ভালো থাকুন
সংসারে অসুখ-বিসুখ থাকবেই। তাই বলে ভেঙে পড়বেন কেন? অসুখ-বিসুখে আমরা পাশে আছি। আপনার কাজ হলো স্বাস্থ্যসচেতন থাকা। স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করা। অস্বাস্থ্যকর, মন্দ ও বদভ্যাস বর্জন করা। চিকিৎসকের পরামর্শমতো চিকিৎসা নেওয়া। আপনার নিজের ও চারপাশের স্বাস্থ্যকর পরিচ্ছন্ন জীবনযাত্রা নিশ্চিত করা। নতুন বছরটিতে আমরা সুস্থ থাকতে চেষ্টা করব, অন্য ব্যক্তিকে সুস্থ সুন্দর জীবনযাপনে সাহায্য করব। ভালো থাকব। দেশকে আরও ভালো রাখতে চেষ্টা করব। এই হোক আমাদের নববর্ষের অঙ্গীকার। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
তানজিনা হোসেন
এন্ডোক্রাইন ও মেটাবলিজম বিশেষজ্ঞ, বারডেম হাসপাতাল
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ডিসেম্বর ২৮, ২০১১
Leave a Reply