ভুজঙ্গাসন শরীর ও মনের সৌন্দর্যের জন্য নিয়মিত যোগব্যায়ামের বিকল্প নেই। এমনকি এই রমজান মাসেও করতে পারেন যোগব্যায়াম। যোগব্যায়ামের ভুজঙ্গাসন ও শলভাসন করতে পারেন এ সময়। বাংলাদেশ ইয়োগা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ হারুন এ দুটি আসন অভ্যাস করার পদ্ধতিটি বলেন—
ভুজঙ্গাসন
এই আসনটি আপনি নিজেই ঘরে বসে করতে পারেন।
পদ্ধতি
১. প্রথমে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ সময় দুই পায়ের পাতা জোড়া থাকবে। হাত দুটো শরীরের দুই পাশে লাগান। তখন হাতের তালু ওপরের দিকে ফেরানো থাকবে। পা, হাঁটু ও নিতম্ব আঁটসাঁট রাখুন এ সময়।
২. হাত দুটো দুই কাঁধের বরাবর নিয়ে তালুর ওপর ভর দিয়ে মাটিতে রাখুন। আঙুলগুলো সামনের দিকে ফেরান এবং গায়ে গায়ে লাগিয়ে রাখুন। এ সময় কনুই দুটোও গায়ের সঙ্গে লেগে থাকবে।
৩. হাতের তালুর ওপর অল্প ভর দিয়ে চিবুক ওপরে তুলুন।
৪. পা থেকে নাভি পর্যন্ত শরীরের নিচের অংশ মাটিতে রেখে দেহের ওপরের অংশ হাতের ওপর বেশি জোর না দিয়ে শুধু বুক ও কোমরের ওপর জোর দিয়ে ধীরে ধীরে দম নিতে নিতে ওপরে তুলুন।
৫. শুধু মেরুদণ্ডের জোরেই পিঠটাকে যতটুকু সম্ভব ধনুকের মতো বাঁকান এবং নাভি দিয়ে মাটির ওপর চাপ দিন।
৬. শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে ৩০ সেকেন্ড থাকুন।
৭. শরীরটাকে ধীরে ধীরে দম ছাড়তে ছাড়তে মাটিতে নামান।
৮. হাত দুটো দুই পাশে গায়ের সঙ্গে আগের মতো লাগিয়ে রাখুন এ সময়।
৯. এবার মুখটাকে যেকোনো এক দিকে ঘুরিয়ে নিন।
১০. ৩০ সেকেন্ড শবাসনে বিশ্রাম নিন। এই হলো একবার। এভাবে তিনবার করুন।
উপকারিতা
এই আসনটি উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য উপকারী। পিঠ ও মেরুদণ্ডের ব্যথা উপশমেও সহায়ক। তা ছাড়া মেয়েদের কোমর ও পেটের ব্যথার ক্ষেত্রেও উপকারী।
শলভাসন
ভুজঙ্গাসন করার পর শলভাসনটিও করতে পারেন।
পদ্ধতি
১. প্রথমে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন।
২. দুই হাত সোজা করে পেট আর দুই ঊরুর নিচে রাখুন।
৩. হাতের তালু দুটো মাটিতে সমান করে পাতা থাকবে এ সময়। আঙুলগুলোও গায়ে গায়ে লেগে থাকবে।
৪. এবার দুই পা সোজা করুন।
৫. ঊরু ও নিতম্বের পেশি শক্ত করে দুই হাতের তালুর ওপর অল্প ভর দিয়ে পা একটু ফাঁকা করে যতটুকু সম্ভব ধীরে ধীরে দম নিতে নিতে ওপরে তুলুন।
৬. এ অবস্থায় লক্ষ রাখুন, যাতে পায়ের আঙুল লাগানো থাকে, হাঁটু যেন বেঁকে না যায় এবং কাঁধ যেন ওপরে না উঠে যায়।
৭. পেটের ওপর ভর রাখুন।
৮. শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে এ অবস্থায় ৩০ সেকেন্ড অবস্থান করুন।
৯. এবার সমস্ত শরীর শিথিল করে দম ছাড়তে ছাড়তে পা দুটো মাটিতে নামান।
১০. হাত পাশে সরিয়ে উপুড় হয়ে শবাসনে ৩০ সেকেন্ড অবস্থান করুন। এভাবে তিনবার করুন।
১১. এই আসনটি করার সময় যাঁরা দুই পা একসঙ্গে তুলতে পারবেন না, তাঁরা এক পা তুলবেন। প্রথমে ডান পা তুলুন আগের মতো এবং ডান পা নামিয়ে বাঁ পায়ে একইভাবে করুন। এভাবে এক পা তুলে শলভাসন করতে পারেন।
উপকারিতা
শলভাসন অভ্যাসের মাধ্যমে কোমর ও নিতম্বের অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে ফেলা যায়। মেরুদণ্ড ও কোমরের ব্যথা উপশমে সহায়ক। এ ছাড়া এর মাধ্যমে হূদযন্ত্র ও হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়।
লক্ষ করুন
রমজানের সময় সেহিরর পর ভোরে যোগ্যব্যায়াম না করাই ভালো। দুপুরের দিকে যোগব্যায়ামের অভ্যাস করলেই উপকার পাওয়া যায় বেশি।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, আগস্ট ১৭, ২০১০
bai bujtechi na kibave korbo akta pic dile valo hote pil akta pic dan
ছবি দেয়া হলো। আশা করি এবার বুঝতে পারবেন।
আমি অনেকদিন থেকেই নেটে যোগ ব্যয়ামের টিপস খুঁজবো খুঁজবো করছিলাম; কিন্তু সময় পাইনা। আজ এই টিপসগুলো দেখে খুব ভালো লাগলো, সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ।
আমার বয়স ৪৩ বছর। আমার ভূড়ি বেঢপভাবে বেড়ে গেছে। কোন ব্যয়াম করলে সহজে ভূড়ি কমাতে পারবো দয়া কওে জানাবেন।
দৌড়ালে ভালো হয়। সেই সাথে পেট ভরে না খেয়ে অল্প অল্প করে ঘন ঘন খেতে হবে।
acha koi ek din beam kore chere dele ki sorir bere jai?
হ্যাঁ, বেড়ে বা কমে যেতে পারে। উর্দ্ধে ২ সপ্তাহের বেশি গ্যাপ দেয়া ঠিক নয়।
যোগ ব্যায়াম কি বিজ্ঞান সম্মত? যোগ ব্যায়ামের বিভিন্ন আসনগুলো ঝুকিপূর্ণ মনে হয় যেমন শীর্ষাসন!! কোন আসনগুলো খুব উপকারী এবং স্বাস্থ্যের জন্য দরকারী জানিয়ে বাধিত করবেন।
হ্যাঁ। যেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ সেগুলো প্রথম দিকে না করাই ভালো। আগে সহজগুলো আয়ত্বে নিতে হবে। ভিন্ন ভিন্ন আসনের ভিন্ন ভিন্ন উপকার।