সকালের নাস্তা যেন বাদ না যায়। একাধারে ১২ ঘণ্টা কিছুই খাননি এমনটি যেন কখনো না হয়, বিশেষ করে সকালের নাস্তা যেন কিছুতেই বাদ না পড়ে। সকালবেলা নাস্তার মাধ্যমে শরীরে কিছু গ্লুকোজ সঞ্চিত হয় এবং কিছুটা রক্তে বিচরণ করে যা সারারাত ধরে ব্যবহৃত হতে থাকে শরীরের জ্বালানি হিসেবে। সকালের নাস্তার পর অবশ্যই শরীরটা ভালো বোধ হবে, চিন্তাশক্তি সুন্দরভাবে পরিবাহিত হতে থাকবে। কিন্তু সকালের নাস্তা না খেলে মস্তিষ্ককে ধোঁয়াটে ভাব নিয়ে চলতে হবে। আর ধোঁয়াটে মস্তিষ্ক নিয়েই যদি দিনটা শুরু হয় তাহলে কাজকর্মে অমনোযোগিতার জন্য অবশেষে পস্তাতেই হয়। একই অবস্থা হতে পারে যদি লাঞ্চ কিংবা ডিনার কোনো কারণে বাদ পড়ে যায়। ব্রিটিশ জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিতে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যেসব লোক কম ক্যালরিযুক্ত (১ হাজার ক্যালরির নিচে) খাবার গ্রহণ করে তারা মোটামুটি পরিমাণ ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণকারীদের তুলনায় কম স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন, কম মনোযোগী ও কম সজাগ মস্তিষ্কের হয়ে থাকে। এই বিষয়ে গবেষকদের অনুমোদন হলো ক্ষুধা না থাকলেও আপনাকে সকালে কম করে হলেও কিছু খেতে হবে। এতে করে দিনের শুরুতেই মস্তিষ্ক থাকবে সজাগ ও সতর্ক।
——————–
দৈনিক নয়া দিগন্ত, ১৬ মার্চ, ২০০৮
ডা. নায়লা শারমিন
Leave a Reply