ঠান্ডা লাগা, সর্দিজ্বর, ফ্লু, ফুড পয়জনিং—এ রকম নানা রোগ প্রতিরোধের একটি সহজ ও কার্যকর উপায় হলো ভালো করে হাত ধোয়া।
কখন ধোবেন হাত?
প্রায়ই, বিশেষ করে ঠান্ডা লাগলে, ফ্লুর সিজনে হাত বারবার ধুলে ফ্লু বা সর্দিজ্বর লাগা অথবা ছড়ানো দুটিই ঠেকানো যায়।
খাদ্য প্রস্তুত করা বা পরিবেশনের আগে ও পরে হাত ধুতে হয়, তাহলে ফুড পয়জনিং যে যে জীবাণু ঘটায়, সেগুলো সংক্রমিত হওয়া বা ছড়ানো—দুটিই ঠেকানো যায়। মুরগি বা গৃহপালিত পাখির মাংস, কাঁচা ডিম বা সি ফুড ধরা, তৈরি করার আগে ও পরে হাত ধোয়া অবশ্যই উচিত।
বাথরুমে যাওয়ার পর ও ডায়াপার ব্যবহারের পর হাত না ধুলে সালমোনেলা বা হেপাটাইটিসের মতো সংক্রামক রোগের আক্রমণ ঘটতে পারে।
হাত ধোবেন অবশ্যই
খালি গা স্পর্শ করার পর।
বাথরুম ব্যবহারের পর।
কফ, কাশ ও হাঁচির পর হাত ধোবেন, ব্যবহার করুন রুমাল বা ডিসপোজ্যাবল টিস্যু।
পানাহারের পর।
টয়লেট ব্যবহারের পর।
এঁটো বাসন ধোয়ার পর।
নোংরা যন্ত্রপাতি ও তৈজসপত্র ধরে হাত ধোয়া উচিত
খাদ্যদ্রব্য ধরা, প্রস্তুত করার আগে ও পরে।
বাচ্চার ডায়াপার বদলানোর পর, ময়লা ধরার পর, ফোন ধরার পর, করমর্দনের পর বা গৃহপালিত জন্তু নিয়ে খেলার পর।
ঠিকমতো হাত ধোবেন
দ্য সেন্টার ফর ডিজিজ কনট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন হাত ধোয়ার এসব ধাপ নির্দেশ করেছে—
উষ্ণ ধারাজল ও সাবান দিয়ে হাত কচলে ধোবেন, শিশুরা নাতি-উষ্ণ জলের ধারায় হাত ধোবে।
হাত দুটি কচলাতে ও ঘষতে হবে অন্তত ২০ সেকেন্ড।
হাতের কবজি, হাতের পেছন দিক, আঙুলের ফাঁক ও নখের নিচে ভালো করে ধুতে হবে।
এরপর কাগজের টাওয়েল দিয়ে হাত শুকাতে হবে। জলের ধারা তখনো পড়তে থাকবে।
পানির কল বন্ধ করার সময় কাগজের টাওয়েল দিয়ে ধরে বন্ধ করতে হবে। সাবান ও পানি না পাওয়া গেলে সংগ্রহ করা যায় জেল হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা অ্যালকোহল হ্যান্ড ওয়াইপস।
এতে থাকে ৬০ থেকে ৯০ শতাংশ ইথাইলকোহল বা আইসোপ্রোপানল। আজকাল অনেক সুপার মার্কেটে এসব পাওয়া যায়। ভ্রমণের সময় এগুলো সঙ্গে নেবেন। রেখে দেবেন গাড়িতে বা ব্যাগে।
জেল স্যানিটাইজার ব্যবহারের সময় হাত ঘষতে থাকবেন, যতক্ষণ না জেল শুকিয়ে যায়। জল ব্যবহার করতে হয় না। জেলে যে অ্যালকোহল থাকে, তা ধ্বংস করে হাতের জীবাণু।
অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী
পরিচালক, ল্যাবরেটরি সার্ভিসেস, বারডেম হাসপাতাল সাম্মানিক অধ্যাপক, ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ, ঢাকা। |
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১০
Leave a Reply