শিশুর দাঁতের যত্নের ভার মা-বাবাকেই নিতে হবে। শিশুর দাঁতের সমস্যাগুলো সাধারণত মা-বাবারা আমলে নেন না। তাঁদের ধারণা, এ দাঁত তো থাকছে না, নতুন দাঁত উঠবে। কিন্তু এই দুধদাঁতের ওপর অনেকটাই নির্ভর করে স্থায়ী দাঁতগুলো কেমন হবে। শিশুর জন্মের কিছুদিন পর থেকেই প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করতে হয়। প্রতিবার খাওয়ার পর নরম কাপড় দিয়ে মাড়ি মুছে দিতে হবে। আর দাঁত উঠে গেলে নরম ব্রাশ ধরিয়ে দিতে হবে শিশুকে। কম মাত্রার ফ্লোরাইডযুক্ত পেস্ট দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করে দিতে হবে। দাঁত ভালো রাখতে ওদের শেখাতে হবে। দুই বেলা দাঁত মাজা নিশ্চিত করতে হবে। এগুলো মেনে চললে শিশুর দাঁত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। বছরে নিয়ম করে শিশুকে দাঁতের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। সেই সঙ্গে শিশুকে দাঁত মাজার সঠিক নিয়ম শেখাতে হবে। টুথপেস্ট যেন খেয়ে না ফেলে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। তাদের শেখাতে হবে, দাঁত মাজার পর যেন পেস্ট থুথু করে ফেলে দেয়। যদি শিশু খুব বেশি ছোট হয় এবং পেস্ট ফেলে না দিয়ে গিলে ফেলে, তাদের বেলায় ফ্লোরাইড নেই এমন পেস্ট ব্যবহার করতে হবে। দুই থেকে তিন বছরে পৌঁছানোর মধ্যেই শিশুকে সঠিক উপায়ে দাঁত মাজা শেখাতে হবে। শিশু যেন কোনো অজুহাতেই দাঁত মাজা থেকে বিরত না থাকে, সেদিকটাও খেয়াল রাখতে হবে।
— সিদ্ধার্থ মজুমদার
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, আগস্ট ২৫, ২০১০
Leave a Reply