আমরা সবাই কম বেশি গ্যাস্ট্রোএনট্রাইটিস নামক সমস্যাটির সাথে পরিচিত। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এ সমস্যার সমাধানে ওষুধ সঙ্গে প্রয়োজন ডায়েট। জেনে নিন গ্যাস্ট্রোএনট্রাইটিসের সমস্যায় কী ধরনের খাওয়া-দাওয়া করবেন।
গ্যাস্ট্রোএনট্রাইটিসে বদহজমের সমস্যার সঙ্গে ডায়রিয়া, ঘনঘন বমি, পেটে ক্র্যাম্পের মতো লবণ দেখা যায়। ভাইরাল ইনফেকশন, অপরিষ্কার পানি ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার মতো নানা কারণে এই সমস্যা দেখা যেতে পারে। একে স্টমাক ফ্লু ও বলা হয়।
কী কী খেতে পারেন
০০ প্রথম দিন লিকুইড ডায়েট মেনে চলে ভালো থাকলে পরেরদিন ভাত, আপেল, পাকা কলা, ক্লিয়ার সুপ খেতে পারেন। কম ঝালমশলা দিয়ে রান্না করা খাবার খাবেন। খুব বেশি তেল ব্যবহার না করে ভাপে তৈরি খাবার খান।
০০ এ সময় যথেষ্ট পরিমাণে ফ্লুয়েড ইনটেক জরুরি। রক্তে ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স মেইনটেইন করার জন্য প্রথমে লিকুইড ডায়েট চলতে পারলেই ভালো। পটাশিয়াম, সোডিয়াম ও সুগারসমৃদ্ধ ফ্লুইড ডায়রিয়া কমাতে সাহায্য করবে। ক্লিয়ার ফ্রুট জুস যেমন লবণ দিয়ে অরেঞ্জ জুস, লবণ, জিরার গুঁড়া ও চিনি বা গুড় দিয়ে তৈরি শরবত, বেদানার রস, আপেল জুস খেতে পারেন। পেটে ব্যথা কম থাকবে। বাইরের জুস না খেয়ে বাড়িতে ফলের রস তৈরি করুন। বমি করার পর সঙ্গে সঙ্গে ফলের রস খাবেন না। আধঘণ্টা পর খেতে পারেন। একসঙ্গে জুস না খেয়ে বার বার অল্প করে খান। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওআরএস খেতে পারেন।
০০ এর তৃতীয় দিনে দই খেতে পারেন। দই ও চিড়া মিশিয়ে খেতে পারেন। সবজির মধ্যে কুমড়া ট্রাই খেতে পারেন।
০০ গ্যাস্ট্রোএনট্রাইটিসের লবণগুলো আস্তে আস্তে কমতে শুরু করলে সলিড খাবার খেতে পারবেন। হালকা করে তৈরি করা পাউরুটি টোস্ট, নরম ভাত বা জাউ ভাত, কম মশলার তরকারি খেতে পারেন।
বিশেষ টিপস
০০ এ সময় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ খেতে ভুলবেন না।
০০ রান্নায় কম তেল ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। খুব বেশি তেল-মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। সহজে হজম করা যায়, এ রকম খাওয়ার চেষ্টা করুন।
মনে রাখুন
০০ এ সমস্যায় একসঙ্গে অনেক খাবার খাবেন না। কারণ এ সময় সলিড খাবার ভালো করে হজম করার জন্য স্টমাক তৈরি থাকে না। ১০-১৫ দিন পর সিদ্ধ সবজি, ফল বা লো-ফ্যাট মিল্ক প্রোডাক্ট অল্প করে খাওয়া শুরু করুন।
০০ ২ দিনের মধ্যে পেট ব্যথা না কমলে বা হাইফিভার ও বমি হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
কী কী খাবার এড়িয়ে চলবেন
০০ ডেয়ারি প্রডাক্ট মানে দুধ, চিজ, আইসক্রিম খুব বেশি পরিমাণে খাবেন না। এ ধরনের খাবার থেকে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
০০ কফি, অ্যালকোহল, সফট ড্রিংকস এড়িয়ে চলুন।
০০ বাইরের খাবার খাবেন না। বাড়িতে রান্না করা খাবার খান। প্রয়োজনে বাড়ি থেকে টিফিন নিয়ে যান।
তামান্না শারমিন
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, জুন ০৮, ২০১০
Leave a Reply