দেশে বর্তমানে ১২ লক্ষ ক্যান্সার রোগী আছে এবং প্রতি বছর আরও প্রায় দুই লক্ষ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান- হচ্ছে। প্রতি বছর দেড় লক্ষ মানুষ ক্যান্সারে মারা যাচ্ছে। ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসার জন্য কেমোথেরাপি একটি গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা পদ্ধতি। কিন্তু কেমোথেরাপি প্রয়োগের ফলে অস্থিমজ্জার কর্মক্ষমতা কমে গেলে রক্তের নিউট্রোফিলের পরিমাণ কমে যায়। ফলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং শরীর বিভিন্ন রোগ-জীবাণু দ্বারা সহজেই সংক্রমিত হয় এবং কেমোথেরাপির পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়। ফলে, ক্যান্সার চিকিৎসা ব্যাহত হয় এবং মৃত্যুহার অনেকগুণ বেড়ে যেতে পারে। এই ধরনের রোগীদের নিউট্রোফিলের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য বিশ্বব্যাপী চিকিৎসকগণ নির্ভরতার সাথে একটি ওষুধের কথা বিবেচনা করে আসছেন যা হচ্ছে ফিলগ্রাস্টিম। এই ওষুধটি আগে বিদেশ থেকে আমদানি করা হত যা ছিল খুবই ব্যয়হুল। সমপ্রতি ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস্ “ফিলগ্রাস্টিম” তৈরী করছে। প্রয়োজনমত সময়ে পর্যাপ্ত ফিলগ্রাস্টিম খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং নিয়মিত ভাবে কেমোথেরাপির সাথে সঠিক পরিমাণ ওষুধের যথাযথ প্রয়োগ দরকার। ওষুধটি যেহেতু উচ্চ প্রযুক্তির ফর্মূলেশনে তৈরী হওয়ায় রোগীর দেহে এর পরিশোষন ও কার্যক্ষমতা তারতম্য ঘটেনা। সাধ্যের মধ্যে আন-র্জাতিক মানের চিকিৎসা রোগীদের কাছে পৌঁছে দিতে “ফিলাস্টিন” হতে পারে একটি পদক্ষেপ। কি ভাবে “ফিলাস্টিন” প্রয়োগ করবেন? ওষুধটি কেমোথেরাপির ২৪ ঘন্টা আগে বা পরে চামড়ার নিচে প্রয়োগ করতে হয়। পরবর্তীতে মাত্রা প্রয়োজনমত পরিবর্তিত হতে পারে।
ডা: রাজীব হাসান
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ফেব্রুয়ারী ২০, ২০১০
Leave a Reply