১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস থেকে শুরু হয়েছে দেশব্যাপীবিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম। ১৯৯৪ সালেপ্রতিষ্ঠিত ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়ালট্রাস্ট’ আয়োজন করেছে এই স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের। চলবে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চপর্যন্ত। সারা দেশে৪৭৫টি উপজেলায়এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। দেশের ছয়টি বিভাগে প্রতিদিন ৬-১০টি উপজেলায়এই কার্যক্রম চলছে। মেডিসিন, সার্জারি, স্ত্রীরোগ, শিশু, চক্ষু, হূদরোগ, দন্ত বিশেষজ্ঞসহ ১৫-২০ জনের বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক দলগরিব-দুস্থ রোগীদের চিকিত্সা দিচ্ছে এই স্বাস্থ্যক্যাম্পগুলোতে। সম্পূর্ণস্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ডাক্তার, নার্স, প্যারামেডিক্সরাএ সেবা দিচ্ছেন। বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সৌজন্যেপ্রাপ্ত ওষুধ বিনা মূল্যেবিতরণকরা হচ্ছে সাধ্যমতো। গত কয়েক দিনে এই স্বাস্থ্যক্যাম্প বিশেষ সাড়া জাগিয়েছে। কোনো সরকারি সাহায্যছাড়াই বাংলাদেশ মেডিকেলঅ্যাসোসিয়েশন এবংস্বাধীনতা চিকিত্সক পরিষদের চিকিত্সকদের সহায়তায়কার্যক্রমটি পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিবছর গোটা দেশে মেধাবী, দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান, সহায়-সম্পদহীন মানুষকে সহায়তা করা, চিকিত্সাসেবা, স্বাস্থ্যক্যাম্প পরিচালনা, ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরেরবাসভবনে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজের উজ্জ্বলদৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেএই ট্রাস্ট।
১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রমের আওতায় ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ৫৩টি উপজেলায়মোট ৬২ হাজার ৬৪৪ জন রোগীকে বিনা মূল্যেচিকিত্সাসেবা ও ওষুধ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই কর্মসূচির প্রধান সমন্বয়কারী এম এইচ মিল্লাত।
বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলায় সকাল১০টা থেকে বিকেলপাঁচটা পর্যন্ত সারা দিন বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকেরা রোগীদেখছেন।
তিন দিন আগে স্থানীয়ডাক্তারদের সহযোগিতায়রোগীতালিকাভুক্ত করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ঔষধশিল্প সমিতির সৌজন্যেপ্রাপ্ত প্রয়োজনীয়ওষুধ কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে বলেজানিয়েছেন পেশাজীবী সমন্বয়পরিষদের মহাসচিব কামরুলহাসান খান।
ক্যাম্পে আসা রোগীদের মধ্যে যাদের বিশেষায়িত চিকিত্সার প্রয়োজন, তাদের উচ্চতর চিকিত্সার প্রয়োজনীয়ব্যবস্থা গ্রহণকরা হচ্ছে বলেজানিয়েছেন বাংলাদেশ মেডিকেলঅ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহমুদ হাসান। আগামী১৭ মার্চ পর্যন্ত রোগীর সংখ্যা পাঁচ লাখছাড়িয়েযাবে বলেমনে করছেন প্রধান সমন্বয়কারী এম এইচ মিল্লাত।
—স্বাস্থ্যকুশলপ্রতিবেদক
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জানুয়ারী ২০, ২০১০
Leave a Reply