মানুষের গড় আয়ু যাচ্ছে বেড়ে, তার সাথে সাথে বার্ধক্য জনিত সমস্যাগুলোও প্রকট হচ্ছে। বার্ধক্যজনিত কেন্দ্রীয় রেটিনার ক্ষয় রোগে অন্যতম। ষাটোর্ধ ব্যক্তির অন্যান্য বয়স জনিত রোগের মতই এই রোগটি রেটিনাকে আক্রান- করে। রেটিনাকে আপনি ক্যামেরার ফিল্ম এর সাথে তুলনা করতে পারেন। রেটিনা একটি অতি সংবেদনশীল স্নায়ু পর্দা বা আবরণ যার উপর আমাদের দৃশ্যমান জগতের ছবি প্রতিফলিত হয় এবং আমরা তা দেখি আর ম্যাকুলা হলো কেন্দ্রিয় রেটিনা যা সবচেয়ে সংবেদনশীল অংশ। বয়স জনিত চোখের সমস্যার উপসর্গ
০ দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পাওয়া
০ দৃষ্টি সীমার মধ্যবর্তী অংশ কালো হয়ে যাওয়া (আলো হীন/দৃষ্টি হীন)
০ চোখের সামনে সব বস্তুকেই আঁকা বাঁকা মনে হওয়া।
প্রতিকার : বিজ্ঞানীগণ সামপ্রতিক কালে গবেষণা করে একধরনের ইনজেকশন আবিষ্কার করেছেন যা চোখের ভিতরে দিতে হয়। এই ইনজেকশন হলো অহঃর ঠঊএঋ (ঋধংপঁষধৎ ঊহফড়ঃযবষরধষ এৎড়ঃিয ঋধপঃড়ৎ) যা নরমাল অপরিপক্ক রক্তনালীকে শুকিয়ে ফেলে এবং নতুন করে অস্বাভাবিক রক্তনালী তৈরী হতে বাধা দেয়।
০ বয়স ৫০ বা তার উর্ধ্বে হলে নিয়মিতভাবে চক্ষু পরীক্ষা করাবেন। কারণ রোগ অল্পসময়ে ধরা পড়লে এবং চিকিৎসা নিলে চোখের খুব অল্প ক্ষতিসাধন হয়ে থাকে।
০ দীর্ঘদিন চিকিৎসা বিহীন থাকলে তা আর চিকিৎসার আওতাধীন থাকেনা। সেক্ষেত্রে বড়সড় স্থায়ী ক্ষতি মেনে নিতে হয়।
০ খাদ্য তালিকায় শাক-সবজি, সামুদ্রিক মাছ নিয়মিত খেলে এরোগে আক্রান- হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।
০ প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, বিটাক্যারোটিন ও ঙসবমধ ৩ ভধঃু অপরফ এই রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
০ চক্ষু চিকিৎসকগণ ও রোগীকে নিজে নিজে পরীক্ষার জন্য বিশেষ পদ্ধতি শিখিয়ে দেন যাতে করে তিনি দৃষ্টিশক্তির সামান্যতম/পরিবর্তনও উপলব্ধি করতে পারেন ও ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে পারেন।
ডা: জেসমিন আহমদ
সহকারী অধ্যাপক ও কনসাল্টটেন্ট, রেটিনা বিভাগ, পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতাল
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, জানুয়ারী ০২, ২০১০
Leave a Reply