কিডনি রোগের অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে দীঘদিন ধরে অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, বংশানুক্রমিক ধারা, বার্ধক্যজনিত রোগ প্রভৃতি। বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া অতিরিক্ত ব্যথানাশক ও ভেষজ ওষুধের ব্যবহারও কিডনির ক্ষতির কারণ হতে পারে আর মূত্রনালির প্রদাহ (ইউটিআই) প্রতিরোধে সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা। এসব কথাই সেমিনারে বললেন সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকেরা।
‘কিডনি রোগ প্রতিরোধ ও চিকিত্সা’ শীর্ষক সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হলো গত শনিবার। ঢাকার একটি হোটেলে পার্কওয়ে হেলথ আয়োজিত সেমিনারে বক্তব্য রাখেন সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের রেনাল মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট লি ওয়াই চুং এবং মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল ও ইস্ট শোর হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট সেম পেহ উন হুই।
লি ওয়াই চুং কিডনি রোগের কারণ, এ রোগ প্রতিরোধ ও এর চিকিত্সা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। ড. চুং বলেন, দ্রুত শনাক্ত করা গেলে কিডনি রোগ চিকিত্সা করে সম্পূর্ণ ভালো করা যায়। চিকিত্সা হিসেবে কিছু ক্ষেত্রে কিডনি প্রতিস্থাপন ও ডায়ালাইসিসের অপরিহার্যতার কথাও তিনি বলেন। এ ছাড়া কিডনি কতটুকু ভালো আছে তা জানার জন্য তিনি রক্তের ক্রিয়েটিনিনের মান পরীক্ষার পরামর্শ দেন।
ড. সেম পেহ উন হুই মূত্রনালির প্রদাহের (ইউটিআই) লক্ষণ, এর চিকিত্সা ও প্রতিরোধ নিয়ে বিশদভাবে বলেন। তিনি ইউটিআই প্রতিরোধের জন্য ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার ওপর বিশেষভাবে জোর দেন।
কাজী ফাহিম আহমেদ
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ডিসেম্বর ২৩, ২০০৯
Leave a Reply