সমস্যা: আমার বয়স ২৫ বছর। কয়েক মাস ধরে আমি আমার ডান স্তনে হাত দিয়ে চাপ দিলে ব্যথাহীন গোলাকার পিণ্ডের অস্তিত্ব অনুভব করি। এ থেকে ক্যানসার বা স্তনের আকার বিকৃতি হওয়ার আশঙ্কা আছে কি? এই পিণ্ডটি ছাড়া আমার স্তনে অন্য কোনো সমস্যা নেই। তবে মাঝেমধ্যে মাসিকের সময় পুরো স্তনে কিছুটা ব্যথা অনুভব করি। আপা, আমি কিছুটা টেনশনে আছি। আশা করি আমাকে পরামর্শ দিয়ে চিন্তামুক্ত করবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম।
পরামর্শ: স্তনে গোলাকার পিণ্ড হলেই যে সেটা ক্যানসার হবে, এমন নয়। পিণ্ড বা টিউমার দুই ধরনের—ক্যানসার টিউমার এবং বেনাইন টিউমার বা নির্দোষ টিউমার। স্তনের এ ধরনের ব্যথাহীন পিণ্ড থেকে ক্যানসার নাও হতে পারে। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিশেষজ্ঞ চিকিত্সককে দেখিয়ে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া উচিত। যে ধরনের টিউমারই হোক না কেন, শুরুতেই ধরা পড়লে এর চিকিত্সা সহজ হয়। তাই লজ্জা বা দ্বিধা না করে সার্জারি বিশেষজ্ঞকে দেখান। নিয়ম মেনে নিজেই নিয়মিত স্তন পরীক্ষা (সেল্ফ ব্রেস্ট এক্সামিনেশন) করবেন। ভালোমতো খেয়াল করবেন, স্তনে অন্য কোনো ধরনের গুটি বা পিণ্ডের অস্তিত্ব টের পাওয়া যায় কি না। দীর্ঘদিন ধরে স্তনে পিণ্ডের অস্তিত্ব অনুভব করার পরও এটা নিয়ে বসে থাকাটা ঠিক হয়নি। দুশ্চিন্তা করবেন না মোটেই। মাসিকের সময় স্তনের ব্যথার জন্য সাধারণ ব্যথানাশক ট্যাবলেট, যেমন বুটাপেন ভরাপেটে একটি করে খেয়ে দেখতে পারেন।
পরামর্শ দিয়েছেন
আনোয়ারা বেগম
অধ্যাপক ও সাবেক বিভাগীয় প্রধান, স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, নভেম্বর ১১, ২০০৯
আমার স্ত্রীর স্তনগুলো খুব আদর করি।তার বয়স ২১ বছর।আমি হাত দিয়ে খুব টিপি।আমরা দুজনে খুব আনন্দ পাই ,কিন্তু সমস্যা হল তার স্তনগুলো কিছুটা ঝুলে গেছে।কিভাবে এগুলো খাড়া করা যায় এবং শক্ত করা যায়,বলবেন কি? আমাদের বাচ্চা নেই.
বুকের কিছু ব্যায়াম আছে, যেমন বুকডন, বেঞ্চপ্রেশ ইত্যাদি। নিয়মিত এগুলো করতে পারলে ভালো হয়।
আপনাকে ধন্যবাদ.আগের সমস্যার উত্তর দেয়ার জন্য.তবে কোন মেডিসিন ব্যবহার করবো কিনা বা আমি যদি না টিপি তাহলে কি তা শক্ত হবে জানাবেন।আবেকটা সমস্যা-আমার স্ত্রী চাকুরী করে।দিনের বেশী ভাগ অংশই তাকে বসে থাকতে হয়।যার ফলে তার পেটে মেদ জমে পেট বড় হয়ে গেছে।ফিটনেস ঠিক করতে কি করতে হবে।
সময়ের সাথে আমাদের সব মাংশপেশীই ধীরে ধীরে নরম হয়ে আসতে শুরু করে। নিয়মিত ব্যায়াম করলে এই নরম হওয়াটা আরো পিছিয়ে দেয়া যায়। টিপলেও ধীরে ধীরে নরম হবে। কিন্তু তাই বলে বাদ দেয়াও তো যায় না। সেজন্য আলাদা ভাবে ব্যায়াম করতে হবে। ছেলেদের মত মেয়েরাও বুকের ব্যায়াম করে স্তন সুগঠিত রাখতে পারেন। এই ব্যায়ামগুলো নিয়ে আলাদা একটা পোস্ট দেয়া হবে।
প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খেলে মেদ হবেই। আবার শরীরও একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একটা নির্দিষ্ট ক্যালরির বেশি খাদ্য প্রসেস করতে পারে না। আপনার স্ত্রী নিশ্চয়ই খাবার নিয়ে যান। উনাকে বলবেন খাবারটা একবারে না খেয়ে ভাগ ভাগ করে ৩ ঘন্টা পর পর খেতে। বসে কাজ করলে এটা খুব কঠিন কিছু নয়।
ফিটনেস ঠিক রাখতে হলে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে, সময়মতো ঘুমাতে হবে আর নিয়মিত কিছু না কিছু শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করতে হবে।
আমার বিয়ে হয়ছে প্রায় ১ বৎসর হবে। আমার বয়স ২১। এখন ও বাচ্ছা নি নাই এবং এখন নেয়ার ইচ্ছা ও নেই। আমি দুইটা সমস্যা নিয়ে খুবই চিন্তিত।
সমস্যা ১- আমার *যৌ*ন*ি পথ দিনদিন তুলনামুলক ভাবে বড় হয়ে যাচ্ছে। যার কারনে আমার স্বামী আমার সাথে একটু অন্যরকম ভাব দেখায়। এমন কোন ক্রিম কিংবা ঔষধ এর নাম বলেন যেটা সেবন করে আমি আমার সমস্যা থেকে মুক্তি পাব আথবা অন্য কোন উপাই থাকলে বলেন।
সমস্যা ২- আমি প্রাকৃতিক ফ্যামিলি প্ল্যানিং অনুযায়ী সহবাস করি। আমার পিরিয়ডের সময় পেট ব্যাথা করে। এজন্য আমি পিরিয়ড চলাকালিন সময় ব্যাথার ঔষধ খায়। কিন্তু আমার পেট দিন দিন বড় হয়ে যাচ্ছে। এটা কি ঔষধ এর কারনে হচ্ছে নাকি প্রাকৃতিক ফ্যামিলি প্ল্যানিং অনুযায়ী সহবাস করার কারনে হচ্ছে জানাবেন এবং কিভাবে পেট কমাতে পারি তাও জানাবেন।
আপনার দুটি সমস্যার জন্যই সবচেয়ে ভালো এবং দীর্ঘস্থায়ী সমাধান হলো কেজেল ব্যায়াম।
পিরিয়ড চলাকালীন ব্যথা নিয়ে আগে অনেক মন্তব্যের উত্তর দেয়া হয়েছে। আপাতত আমাদের ফেসবুক পেজে এখানে দেখে নিন।
পেট কমাতে নিয়মিত দৌড়াতে হবে। খাবার অল্প অল্প করে ঘনঘন খেতে হবে। বিকেলের পরে কার্ব জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
আমি অবিবাহিত। আমার বয়স ২৬।
আমার সমস্যা হল আমার মাসিক ২ মাস পরপর হয় এবং ৩০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। এ সমস্যা গত এক বছর ধরে। এর আগেও আমার এই সমস্যা ছিল যে কারনে ডাক্তার আমাকে NORMENS ট্যাবলেট দিয়েছিলো। এটা খাওয়ার ৫ মাস পর্যন্ত আমি ভালো ছিলাম। কিন্তু এর পর গত ১ বছর ধরে আমার এই সমস্যা।
আমি এখন কি করবো।
আপাতত আবার ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধ খেয়ে যেতে পারেন। বিয়ের পর এসব ঠিক হয়ে যেতে পারে।
আর এমনিতে খাওয়া-দাওয়া আর ঘুম ঠিক রাখবেন। রাত না জাগাই ভালো। দুশ্চিন্তা-দুর্ভাবনা এড়িয়ে চলবেন। কেজেল ব্যায়াম করতে পারেন।
breast jhula komanor upay ki
সঠিক এবং সুন্দর লাইফস্টাইল।