শক্তি-চালনী মুদ্রা (Shakti-Chalani Mudra):
যোগ-শাস্ত্রকারীদের মতে, আমাদের শরীরের জননেন্দ্রিয় ও গুহ্যদেশের মাঝখানে অবস্থিত কুন্দস্থান থেকে ইড়া, পিঙ্গলা, সুষুম্না, কুহূ, শঙ্খিনী প্রভৃতি প্রধান নাড়ীগুলোর উৎপত্তি হয়েছে। মূলাধারচক্রের এই কুন্দস্থানেই কুলকুণ্ডলিনী নিদ্রিত সাপের আকারে বিরাজ করছে। যোগশাস্ত্রকারীরা এই কুণ্ডলিনীকে শক্তির আধার বলেছেন।
যে মুদ্রা অভ্যাসে কুণ্ডলিনীকে জাগরিত করে উর্ধ্বে চালনা করা যায় তাকে বলা হয় শক্তি-চালনী মুদ্রা (Shakti-Chalani Mudra)।
পদ্ধতি:
পদ্মাসন, বজ্রাসন, গোমুখাসন বা সহজ সিদ্ধাসনে বসুন। হাত হাঁটুর উপর রাখুন। এবার ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে নিতে গুহ্যদেশ সবলে আকুঞ্চিত করুন এবং একই সাথে কুহূ ও শঙ্খিনী নাড়ীকে (জননেন্দ্রিয় ও গুহ্যদেশের মাঝখানে অবস্থিত কুন্দস্থান থেকে যার উৎপত্তি) উপরে আকর্ষণ করুন। অর্থাৎ মলদ্বার সঙ্কুচিত করে তলপেট উপরদিকে টেনে তুলুন। এই টেনে তোলার বা কুঞ্চিত করার ফলে নাভিপ্রদেশ প্রায় মেরুদণ্ডের সঙ্গে লেগে যাবে। এ অবস্থায় যতক্ষণ সহজভাবে সম্ভব দম বন্ধ রাখুন। এরপর আস্তে আস্তে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে আকুঞ্চন শিথিল করে দিন।
এইভাবে দিনে দুই বেলা সকাল-সন্ধ্যায় দশ-পনেরবার করে মুদ্রাটি অভ্যাস করুন।
উপকারিতা:
মুদ্রাটিতে শারীরিক মিলনগ্রন্থির বিশেষ উপকার হয়। এতে ধারণশক্তি, জীবনীশক্তি, স্মৃতিশক্তি, চিন্তাশক্তি ও ইচ্ছাশক্তি বৃদ্ধি পায়। এই মুদ্রা কামজয়ী ও উর্ধ্বরেতা হতে সাহায্য করে।
নিষেধ:
১২ বছরের কম বয়সী ছেলেদের এবং ঋতু প্রতিষ্ঠিত হয়নি এমন মেয়েদের জন্য মুদ্রাটি অভ্যাস করা বারণ।
Leave a Reply