ইনফ্রারেড রশ্মি সাধারণত তাপশক্তি। একটি থেরাপিউটিক ল্যাম্প নামক ইলেক্ট্রিক্যাল যন্ত্র থেকে কৃত্রিমভাবে আলোক রশ্মি তৈরি করা হয় যা সূর্যরশ্মি থেকে প্রাপ্ত রশ্মির মত। ইনফ্রারেড ল্যাম্প লাল হয় এবং যখন জ্বালানো হয় তা উজ্জ্বল লাল রঙ ধারণ করে। এটি ত্বকের গভীরে সহজেই ঢুকে যেতে পারে। এই রশ্মির প্রভাবে রক্ত সংবহন এবং কোষের জৈবিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পায়। এই ধরনের ল্যাম্প সাধারণত শরীর থেকে ১ ফুট দূরত্বে রেখে কাজ করতে হয় এবং এটি ত্বকে ৫ মিনিটের বেশি রাখা যায় না। এটি সমস্ত দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি না করে ত্বকের প্রয়োজনীয় জায়গায় তাপ বৃদ্ধি করে এবং ত্বকে শিথিলতা আনে। রক্তনালী গুলিকে প্রশস্ত করে এবং ত্বকে রক্ত পরিবহনের মাত্রা বৃদ্ধি করে ত্বকের কোষ কলাকে উদ্দীপিত করে। কোষ কলার মেটাবলিজম বা কার্যকারীতা বৃদ্ধি করে ও ত্বকের রাসায়নিক পরিবর্তনে সাহায্য করে। যেহেতু এই রশ্মি ত্বকের গভীরে পৌঁছে ফলে ত্বকের সেই অংশটুকুতে সামান্য গরম ও আরাম অনুভূত হয়, রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত মাংশপেশীগুলো শিথিল হয়ে ব্যথা বেদনা দূর হয়।
ডা. জ্যোৎস্না মাহবুব খান
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০০৯
Leave a Reply