ভিটামিন ‘ডি’ সেবনে মৃত্যুর হার কমে; এমনকি সাধারণ এক কোর্স ভিটামিন ‘ডি’ আমাদের দীর্ঘায়ু হতে সহায়তা দিতে পারে। আর্কাইভ অব ইন্টারনাল মেডিসিন নামের চিকিৎসাবিষয়ক সাময়িকীতে সম্প্রতি প্রকাশিত গবেষণাপত্রে এ খবর বেরিয়েছে। বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যে দেখিয়েছেন, ভিটামিন ‘ডি’র অভাবে অতিরিক্ত পাঁচ লাখ ক্যান্সার রোগীর সৃষ্টি হতে পারে। অন্যান্য গবেষণায় দেহে নি্নমাত্রায় ভিটামিন ‘ডি’র সঙ্গে হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। অবশ্য ভিটামিন ‘ডি’ সাপ্লিমেন্ট নিতে গিয়ে বেহিসাবি হলে চলবে না। মাত্রাতিরিক্ত ভিটামিন ‘ডি’ গ্রহণের বিপদ সম্পর্কেও অবহিত থাকতে হবে।
হাঁপানি রোগীদের জন্য নতুন এক সতর্কীকরণ যন্ত্র বেরিয়েছে। এটা এত ছোট যে কল্পনা করাই কঠিন। মানুষের চুলের চেয়ে এক লাখ গুণ ছোট এই সেন্সরটি এক থেকে তিন সপ্তাহ আগে থেকে হাঁপানির আক্রমণের আভাস দিতে পারবে। ক্ষুদ্র এ সেন্সর প্রশ্বাসের সঙ্গে নির্গত বাতাসে নাইট্রিক অক্সাইড গ্যাস পরিমাপ করে রোগ আক্রমণের সংকেত দেবে।
ভিটামিন ‘ডি’ নিয়ে আরও কিছু কথা। সাম্প্রতিক এক গবেষণার প্রকাশিত ফলাফল থেকে দেখা যাচ্ছে, গর্ভবতীদের গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে এই ভিটামিনের অভাব ঘটলে প্রি-এক্লাম্পসিয়া নামের মারাত্মক রোগের ঝুঁকি পাঁচ গুণ বেড়ে যায়। এ ধরনের রোগীদের রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং হাত-পা ফুলে যায়। নির্দিষ্ট সময়ের আগে প্রসব এবং মা ও শিশুমৃত্যুর এটা এক প্রধান কারণ।
শিশুদের মাথার আকার, চোখের অবস্থান এবং নাক, চিবুক ও কানের বৈশিষ্ট্য বিচারের মাধ্যমে ১০টির মতো বংশানুক্রম নিয়ন্ত্রক এককের ত্রুটি সৃষ্ট (জেনেটিক) রোগ নির্ণয়ের জন্য সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা একটি কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরি করেছেন। এর ফলে এ ধরনের রোগগুলো এখন আরও দ্রুত ও সঠিকভাবে নির্ণয় করা যাবে।
চিকিৎসকদের পরিধেয় সাদা অ্যাপ্রনের দিন বোধহয় ফুরিয়ে এল। হাসপাতাল থেকে উদ্ভূত ওষুধ প্রতিরোধী মারাত্মক ‘সুপার-বাগ’-এর সংক্রমণ ঠেকাতে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য বিভাগ নতুন যে ড্রেস কোড চালু করতে যাচ্ছে, তাতেই এমনটা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। লম্বা হাতাযুক্ত অ্যাপ্রন বা শার্ট, জুয়েলারি বা ঘড়ি; এমনকি রোগীদের শয্যার পাশে অবস্থানকালে টাই পরিধান পর্যন্ত এই প্রস্তাবিত ড্রেস কোডে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। এ বছর থেকে এটা কার্যকর হতে যাচ্ছে।
এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে যে ডিজেলের ধোঁয়া থেকে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। ডিজেলের ধোঁয়ায় বাতাসে অক্সিজেন কমে গিয়ে হৃৎপিণ্ডের বিদ্যুৎ পরিবাহিতায় পরিবর্তন ঘটিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো,
সংগ্রহঃ ডা· নুরুর রহমান
Leave a Reply