অনেক সময় বিভিন্ন রোগজীবাণু খাবারের মাধ্যমে শিশুর শরীরে প্রবেশ করে। এতে শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই যখনই শিশুকে খাবার খেতে দেবেন, খেয়াল রাখতে হবে, তা মানসম্মত কি না। খাবার বাসি ও নষ্ট নয়, শিশুর জন্য তা ভালো খাবার-এসব নিশ্চিত হয়েই শিশুকে খাওয়ানো উচিত।
শিশুকে দেওয়া খাবার নিরাপদ রাখার জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন-
- নিশ্চিত হতে হবে শিশুর খাবার বেশ ভালোভাবে রান্না করা হয়েছে কি না। বিশেষত মাংস ও পোলট্রিজাত খাবার।
- রান্নার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তা খেতে দেওয়া, যেন অনেকক্ষণ ফেলে রাখার জন্য তা নষ্ট হওয়া বা জীবাণুদূষণ ঘটার সময় না পায়।
- যে খাবার তৈরির পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত রেখে দিতে হচ্ছে, তা অবশ্যই গরম করে বা ফ্রিজে রেখে দিতে হবে।
- রান্না করা যে উদ্বৃত্ত খাবার পরে শিশুকে খাওয়ানোর জন্য নেওয়া হয়, তা আবার খাওয়ানোর আগে গরম করে নিন।
- যেকোনো কাঁচা মাংসেই জীবাণু থাকতে পারে। তাই কোনোভাবেই এসব যেন রান্না করা খাবারের সঙ্গে মেশানো না হয়। কাঁচা মাংস রাখার বাসনপত্রও ভালোভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে নিন।
- যেসব স্থানে খাবার তৈরি হয়, সে স্থান সব সময় পরিষ্কার রাখুন।
- শিশুর খাবার সব সময় ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন, যেন তা পোকামাকড়, ইঁদুর-বিড়াল বা অন্য কিছুর সংস্পর্শে না আসে।
- পানির যথাযথ ব্যবহার জানলে শিশুরা পানিবাহিত রোগে কম অসুস্থ হয়।
- ঘরে নিরাপদ পানির যথেষ্ট ব্যবস্থা থাকলে শিশুর অসুখ-বিসুখ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব।
- কুয়োর পানি ব্যবহার করলে কুয়ো ভালোভাবে ঢেকে রাখার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
- রান্না, খাওয়া, গোসল ও হাত ধোয়ার পানি কোনোভাবেই যেন মলমূত্র বা আবর্জনাদূষিত পানির সংস্পর্শে না আসে, সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
- পানি সংরক্ষণের পাত্র, যেমন বালতি, জার ইত্যাদি যতটুকু সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যেমন-বালতি মাটিতে না রেখে তা দড়ি থেকে উপুড় করে ঝুলিয়ে রাখা ভালো।
- খাওয়ার পানি সব সময় পোষা প্রাণীর সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখতে হবে।
- সংরক্ষিত পানি নিরাপদ রাখার জন্য কিছু ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
- পানি অবশ্যই পরিষ্কার ঢাকনা দেওয়া পাত্রে রাখতে হবে।
- যেকোনো পাত্র থেকে পানি নেওয়ার সময় পরিষ্কার মগ ব্যবহার করতে হবে।
- পানিভর্তি পাত্রে হাত ডুবিয়ে দেওয়া বা এ থেকে সরাসরি পানি পান করতে দেবেন না।
সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো,
লেখকঃ ডা· প্রণব কুমার চৌধুরী
Leave a Reply