শারীরিক মিলন শিহরণ বা শারীরিক মিলন সম্বন্ধে নানা গবেষণায় দেখা গেছে যে, এটি কেবল মাত্র জেনিটাল বা শারীরিক মিলন অর্গানঘটিত ব্যাপার নয়। এর সাথে জড়িত রয়েছে সারা শরীর বিশেষ করে ব্রেন বা মস্তিষ্ক। পুরুষের ক্ষেত্রে যা ঘটে তা হলো শারীরিক মিলন চিন্তা বা শারীরিক মিলন আচরন করার পূর্বে যে সব শারীরিক মিলন উদ্দীপনা সৃষ্টি করা হয় সেসকল উদ্দীপনায় মস্তিষ্কে কতক সিগন্যাল বা সংকেত প্রেরিত হয়। এসকল সিগন্যালের প্রেক্ষিতে ব্রেন বা মস্তিষ্ক স্পাইনাল কর্ড বা সুস্মাকান্ডের মাধ্যমে এক ধরনের ইম্পালস বা সংবেদি তাড়না নার্ভের মাধ্যমে পেনিসে প্রেরণ করে। ফলশ্র“তিতে নাইট্রিক অক্সাইড প্রচুর পরিমাণে আঞ্চলিকভাবেক সংশ্লেষিত হয় যা কিনা পেনাইল আর্টারিকে প্রসারিত করে এবং পেনিসে যে স্পঞ্জি বা সংকোচন প্রসারণশীল রক্ত গহ্বর রয়েছে সেগুলোকে শিথিল করে এবং সে রক্ত গহ্বরগুলো প্রচুর পরিমাণে দিয়ে পরিপূর্ণ হয়ে যায়।
একবারে সাম্প্রতিককালে এ শারীরিক মিলনুয়াল মেসেস কিভাবে পরিবাহিত হয় তা নিয়ে নানা পর্যায়ে গবেষণা হয়েছে এ থেকে বেরিয়ে এসেছে যে, এসটাইলন কোলিন নামক একটি নিউরোট্রান্সমিটার মস্তিষ্ক থেকে সংবেদি তাড়না পেনিসে নিয়ে যায় বিশেষত শারীরিক মিলন আচরণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এই নিউরোট্রান্সমিটারটি পুরুষের ক্ষেত্রে শারীরিক মিলন আচরণ যেমনটি ভূমিকা পালন করে থাকে তেমনি নারীদের শারীরিক মিলন ক্রিয়ায়ও এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শারীরিক মিলনুয়াল রেসপন্স বা শারীরিক মিলন সাড়া জাগাতে কলিনার্জিক নার্ভ ট্রান্সমিশন বা নার্ভের মাধ্যমে সংবাদ পরিবহন বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সাদামাটাভাবে বলতে গেলে খুব কম মাত্রায় এসিটাইল কোলিন নিঃসৃত হলে নানা ধরনের শারীরিক মিলন আচরণে এবং শারীরিক মিলনক্রীড়ায় ভাটা পড়ে । একদল নিয়ন্ত্রিত রোগীদের ওপর গাবেষণায় দেখা গেছে যে, বাইরে থেকে এসিটাইল কোলিন প্রয়োগ করলে শারীরিক মিলনুয়াল একটিভিটি বা শারীরিক মিলন সম্পর্কিত নানা আচরণ আগের চেয়ে অনেক উন্নীত হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এই এসিটাইল কোলিন নিউরোট্রান্সমিটারটি আওটার কোর্স বা শারীরিক মিলন বহির্ভূত নানা শারীরিক মিলন আচরণ যেমন- শারীরিক মিলন পার্টনারদের একজন আরেকজনকে গভীরভাবে আলিঙ্গনবন্ধ করা, চুম্বন দেয়া,ওরাল শারীরিক মিলন,নিতম্বে মৃদু চাপ্পড় দেয়া এবং একই সঙ্গে ইন্টারকোর্স বা জননাঙ্গ শারীরিক মিলন দুই ধরনের শারীরিক মিলন অনুভূতির ভূমিকায় নতুন মাত্রা যোগ করে থাকে। কাজেই দেখা যাচ্ছে এসিটাইল কোলিন নামক নিউরোট্রান্সমিটারটি শারীরিক মিলনপুলক বা অর্গাজম এবং শারীরিক মিলনপুলক বা শারীরিক মিলন আরামের সাথে সরাসরিভাবে জড়িয়ে। এটি উইরেথ্রাল এবং জননাঙ্গর মাংসপেশিরও সংকোচন ঘটিয়ে সাথে এবং এর ফলে এক ধরনের ব্যক্তিনিষ্ঠ শারীরিক মিলন উদ্দীপক পারসেপশন বা সেনসেশন লাভ করা যায়।
শারীরিক মিলনুয়াল রেসপন্স বা শারীরিক মিলন সাড়াতে এর মূল ভূমিকার পাশাপাশি এসিটাইল কোলিনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো এটি স্কেলেটাল মাসল বা এচ্ছিক পেশিগুলোতে নার্ভের সংবেদন বহন করে। এ এচ্ছিক পেশিগুলোর সাহায্যে শরীরে নাড়াচড়া হয়ে থাকে। বিষেশভাবে উল্লেখ্যয্যে তা হলো শারীরিক মিলন শারীরিক মিলনের সময় পুরুষটির শীরর নানাভাবে তীব্র নাড়াচড়া বা ওঠা-নামার প্রয়োজন পড়ে এই ক্ষেত্রে মাংসপেশির ওপর নিয়ন্ত্রণ এবং মাংপেশির টান নিয়ন্ত্রণে এসিটাইল কোলিনের ভূমিকা অপরেসীম। কাজেই দেখা যাচ্ছে এই কোলিনার্জিক নিউরো মাসকুলার ট্রান্সমিশান- এর ফলে শরীরের শক্তি আগের চেয়ে বাড়ে, স্টেমিনা বাড়ে। এসিটাইল কোলিনের লেভেল বাড়ে এবং এর ফলে অতিরিক্ত শারীরিক ও মনের জোরের সাথে শারীরিক মিলন আরামবোধ করা যায়।
বাজারে নানা ধরনের ড্রাগ প্রচলিত রয়েছে যেগুলো শরীরের রাসায়নিক কলিনার্জিক কার্যকলাপ এবং এসিটাইল কোলিনের কোষীয় ঘনত্ব বাড়িয়ে থাকে তবে এসকল ওষুধে খুবই মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিদ্যমান। যেগুলো অনেকের ক্ষেত্রেই অন্তত শারীরিক মিলন করার জন্য সহনশীল নাও হতে পারে। তথাপি এসকল ড্রাগ প্রেসক্রিপশন দিয়ে ওষুধের ফার্মেসি থেকে পাওয়া যেতে পারে। তবে সবচেয়ে নিরাপদ এবং কার্যকরভাবে এসিটাইল কোলিনের লেভেল বাড়াতে যা করা উচিত তা হলো কোলিন সাপ্লিমেন্টস এবং ভিটামিন বি-৫ একই সঙ্গে সেবন করা।
কোলিনের সঙ্গে ভিটামিন-বি-৫ একই সঙ্গে সেবনের মূল উদ্দেশ্য হলো গবেষণা নিরীক্ষায় বেরিয়ে এসেছে যে, ভিটামিন বি-৫ বা পেন্টোথেনিক এসিড কোলিনের সাথে একত্রে সেবন করলে রক্তে এবং কোষে এসিটাইল কোলিনের লেভেল তুলনামূলকভাবে অনেক বেড়ে যায়। ভিটামিন বি-৫ কে পেন্টোথেনিক এসিড বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে ক্যালসিয়াম পেন্টোথেনিক এসিডও বলা হয়ে থাকে। এটি কোলিন থেকে এসিটাইল কোলিন তৈরিতে উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা পালন করে তাই ইতিমধ্যে বলা হয়েছে।
দ্বিতীয় যে ব্যাপাটি আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা হলো মাংসপেশি সঞ্চালনের সময় যে শক্তির প্রয়োজন সেটির জন্য এটি ক্রেব সাইকেলের ওপর কাজ করে থাকে। ক্রেব সাইকেল কোষের জন্য অত্যন্ত জরুরি ভিটামিন বি-৫ আমাদের শারীরিক শক্তি, এনার্জি এবং শারীরিক মিলনুয়াল স্টেমিন বাড়াতে সহায়তা করে। দেখা গেছে যে, যারা ভিটামিন বি-৫ পরিমিত মাত্রায় নিয়মিত সেবন করে তাদের শারীরিক মিলন শারীরিক মিলন চলাকালীন সময়ে মাংসপেশির ওপর অন্যান্যদের চেয়ে দ্বিগুণ নিয়ন্ত্রণ থাকে। ভিটামিন বি-৫ এর চরম ঘাটতি রয়েছে এমন লোকদের ওপর নিরীক্ষায় দেখা গেছে এরা অল্পতে মাংসপেশির ক্লান্তিতে ভুগে থাকে। কোলিন এবং ভিটামিন বি-৫ এর শারীরিক মিলনুয়াল বা শারীরিক মিলন ভূমিকা কি কি- একটু আগে উল্লেখ্য করা হয়েছে কোলিন এবং ভিটামিন বি-৫ এর মূখ্য শারীরিক মিলনুয়াল ইফেক্ট বা ভূমিকা হলো দুটি। একত্রে সেবনে বা কেবল মাত্র বি-৫ সেবনে শারীরিক মিলন আচরণে অনেক বেশি মাত্রায় সহনশীলতা বাড়ে এবং শারীরিক মিলন আরাম বাড়ে।
৩০ বছর বয়স্ক একজন ব্যক্তি বলেছেন (যিনি নিয়মিত ভিটামিন বি-৫ সেবন করেন) যে, স্বাভাবিক অবস্থায় শারীরিক মিলন করতে গিয়ে যতক্ষণ ইরেকশন বা শারীরিক মিলন উত্থান বজায় রাখতে পারেন ভিটামিন বি-৫ সেবনরত অবস্থায় তিনি কমপক্ষে দ্বিগুণ মাত্রায় শারীরিক মিলনুয়াল অনুভূতি লাভ করে থাকেন। একজন নারীর ভাষ্য হলো ভিটামিন বি-৫+ কোলিন একত্রে সেবনে তিনি শারীরিক মিলন করার সময় অনেক বেশি রিলাক্সড এবং শারীরিক মিলন আরামবোধ করে থাকেন। এতে মাংসপেশির ওপর নিয়ন্ত্রণ অনেক বেশি বাড়ে। উল্লেখ থাকে যে, শারীরিক মিলন শারীরিক মিলনের যেহেতু নানা ধরনের আসন রয়েছে এবং যাদের শারীরিক মিলন শারীরিক মিলনের এই আসনের ব্যাপারে মনোভঙ্গি বা দৃষ্টিভঙ্গির পর্যাপ্ততা বা বিস্তৃতি বেশি এবং নানা আসনে শারীরিক মিলন শারীরিক মিলন করতে চান, সেক্ষেত্রে নারী যদি মূল ভূমিকা পালন করে অর্থাৎ শারীরিক মিলনের আসনে ওপরে থাকতে চান তাহলেও তার মাংসপেশির সঞ্চালনজনিত যে শক্তি দরকার তা তিনি ভিটামিন বি-৫ এবং কোলিন থেকে পেতে পারেন।
গবেষণায় আরো দেখা গেছে নারীদের অর্গাজম বা চরমপুলক অনুভূতির স্থায়িত্বকাল এ দুটি একই সাথে সেবনে আগের চেয়ে অনেক বেশি বেড়েছে। একই সাথে অনেকবার অর্গাজম লাভের অনুভূতি ও অনেক নারীর পরিলক্ষিত হয়েছে। ডোজ এবং সময়কাল- যারা কোলিন এবং ভিটামিন বি-৫ একত্রে সেবন করেন এবং অভিজ্ঞ তারা এর কার্যকারিতা ও ফলপ্রসূতা ভালোভাবে পেতে শারীরিক মিলন করার ২০ থেকে ৩০ মিনিট পূর্বে এটি সেবন করে থাকেন। ভিটামিন বি-৫ এবং কোলিনের কম্বিনেশন বা সমন্বিত চিকিৎসা পদ্ধতিতে কার্যকর ভূমিকা ৫০০ থেকে ১০০০ মিঃ গ্রাঃ বি-৫ এবং ১৫০০ থেকে ৩০০০ মিঃ গ্রাঃ কোলিন একত্রে সেবন করা প্রয়োজন হতে পারে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে অল্প মাত্রায় ডোজ দিয়ে শুরু করে ধীরে ধীরে বাড়িয়ে সহনশীল উচ্চতর মাত্রা নিজের ওপর প্রয়োগ করা যায়। তবে কি পরিমাণ ডোজে আপনার শারীরিক মিলনুয়াল বা শারীরিক মিলন আচরণে অত্যধিক আনন্দ বা শিহরণ লাভ করবেন তা আপনার ব্যক্তিনিষ্ট পর্যবেক্ষণও অনেকখানি নির্ভর করে। ওপরে যে কম্বিনেশন চিকিৎসার কথা উল্লেখ করা হলো তা ব্যক্তি বিশেষে বেশ পার্থক্য বিরাজ করতে পারে। তাই শারীরিক মিলন সাড়ার ওপর ভিত্তি করে এই দুটি সমন্বিত চিকিৎসায় ফলপ্রসূতা আশা করা যায়।
Thursday, January 5, 2006
Source: blogspot.com
অনন্ত
দয়া করে আমাদের বাজারে পাওয়া যায় এমন এক্তি ব্রান্ড এর নাম জানান (কোলিন সাপ্লিমেন্টস )
Bangla Health
এটা আপনাকে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ঠিক করতে হবে যে কোনটা আপনার জন্য প্রযোজ্য হতে পারে।