সিফিলিস -১
সিফিলিস মারাক্তক এটি শারীরিক মিলনরোগ । এর ফলে অন্ধত্ব প্যারালাইসিস এবং মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। অধিকাংশ সময় সিফিলিস পুরুস লিঙ্গ্, জননাঙ্গর মাধ্যমে ছড়ায়। কোনো কোনো সময় এটি মুখ বা মলাশয়ের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। সাধারণত ডায়াগনোসিস ধরা পড়ার পরই কেবল সিফিলিস চিকিৎসা শুরু করা যেতে পারে। কেননা অনেক সময় উপসর্গহীন সিফিলিস হতে পারে। পেনিসিলিন ইনজেকশন বা অন্যান্য এন্টিবায়োটিক হলো প্রধান চিকিৎসা ।
সিফিলিস -২
ক. প্রথম স্তরের সিফিলিস
১০ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে ব্যথাহীন র্যাশ। গোপনাঙ্গ ছাড়াও এটি পায়ুর কাছে, ঠোঁটে এবং স্তনবৃন্তে হতে পারে। সাদা সাদা অংশগুলো ৪ থেকে ১০ সপ্তাহের মধ্যে অধিকমাত্রায় পরিস্কার হতে থাকে।
খ. দ্বিতীয় স্তরের সিফিলিস
৬ সপ্তাহ থেকে তিন মাসের মধ্যে চুল পড়ে যাওয়া প্রচন্ড মাথাব্যথা, গলার ভেতর শুকিয়ে যাওয়া সামান্য জ্বর ইত্যাদি হতে পারে।
গ. এটি সবচেয়ে মারাক্তর স্তর । কেননা এই সময়ে হৃদপিন্ড, রক্তনালী, মস্তিক স্পাইনাল কর্ড ইত্যাদি আক্রান্ত হয়ে যায়।
গনোরিয়া -১
এটি একটি শারীরিক মিলনবাহিত রোগ । সারা বছরে প্রায় ২০০ মিলিয়ন গনোরিয়া রোগী পাওয়া যায়। এটি মারাক্তক হয়ে দাড়ায় কোনো কোনো সময় নারীদের জন্য । এক ধরণের মেইসেরিয়া গনোরিয়া ব্যাকটিরিয়ার আক্রমণে এই রোগ হয়ে থাকে। এটি শরীরের স্পর্শ বিশেষ করে গোপনাঙ্গের সাথে গোপনাঙ্গের স্পর্শে বেশি মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ে। ওরাল এবং এনাল শারীরিক মিলনের ফলে এটি আরো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ১৫-২৪ বয়সী পুরুষের এই রোগ হবার সম্ভবনা থাকে সবচেয়ে বেশি । অনেক পুরুষের চেয়ে নারীর দৃশ্যমান ইনফেকশন থাকে। পুরুষের প্রথম উপসর্গ হলো প্রস্রাবের জ্বালাযন্ত্রণা হওয়া। ইনফেকশন কমানো না গেলে এই রোগ গোপনাঙ্গ সম্পর্কে শিথিল করে ফেলে । দীর্ঘসময়ের ইনফেকশনের জন্য মস্তিক ত্বক এবং হাড়ের জোড়ায় সমস্যা হতে পারে। তবে প্রাথমিক অবস্থাতেই গনোরিয়ার চিকিৎসা করা হলে ভবিষ্যতে এটির বিস্তার আর হবে না। এমনটি নিশ্চিত বলা যায়।
Sunday, February 26, 2006
Source: blogspot.com
Leave a Reply