স্বাস্থ্য সেবা খাতে রোগীদের কাছে বিভিন্ন পরীক্ষায় সময় সরকারি কর (ভ্যাট) আদায়কে সংবিধান পরিপন্থী, বে-আইনী ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ও বিচারপতি মো· মমতাজ উদ্দিন সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানি শেষে এ রায় দেন।
চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে কর আদায়ের উদ্দেশ্যে ১৯৯১ সালের আয়কর আইনে কতিপয় শব্দ সংযোজনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের শুনানিতে আদালত এ রায় দেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জুলহাস উদ্দিন, মো· আব্দুল বারী ও গোলাম মোস্তফা এ রিট দায়ের করেন। আদালত ওই দিন সরকারের প্রতি রুল জারি করেন। আজ রুলের শুনানি শেষে এ রায় দেওয়া হয়।
রিটে বলা হয়, ২০০৪ সালের পূর্বে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সেবা করের আওতামুক্ত ছিল। কিন্তু ২০০৪ সালে আয়কর আইনের ২(ক) ধারায় ‘চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান, দন্ত চিকিৎসা, প্যাথলোজিক্যাল ল্যাবরেটরি এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তার’ শব্দ যুক্ত করে এই সেবা ব্যতীত অন্য সেবাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এতে করে রোগীরা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কর দিতে বাধ্য হচ্ছে। অথচ সেবা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষকেই কর দেওয়ার বিধান রয়েছে। তাই সংবিধান পরিপন্থী উল্লেখ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ ও সরকারের পক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোস্তফা জামান ইসলাম শুনানি করেন।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুলাই ১৫, ২০০৯
Leave a Reply