সাধারণত আমাদের ত্বক চার ধরনের হয়। সাধারণ ত্বক, শুষ্ক ত্বক, তৈলাক্ত ত্বক এবং মিশ্র ত্বক। চার ধরনের ত্বকের যত্ন চার রকমের। আবার কিছু ব্যাপারে নিয়ম একই। গরমে প্রতিদিন কীভাবে ত্বকের যত্ন নেবেন, সেটাই জেনে নেওয়া যাক। পরামর্শ দিয়েছেন রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা আরমান।
রাতের বেলা ঘুমানোর সময় ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার সবচেয়ে ভালো কাজ করে। এ জন্য রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় টুকটাক যত্ন নিতে হবে। যদি মেকআপ করা থাকে, তাহলে সেটা ভালোভাবে তুলে ফেলতে হবে। মেকআপ রিমুভার, আই মেকআপ রিমুভার দিয়েই পরিষ্কারের কাজটি করা উচিত। এরপর ত্বক বুঝে ফেইস ওয়াশ ব্যবহার করতে হবে। মুখ ধোয়ার পর টোনার ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের জন্য এটা ভালো কাজ করে। বাজারে অনেক ধরনের নাইট ক্রিম পাওয়া যায়। আপনার ত্বকের জন্য প্রযোজ্য এমন একটিকেই বেছে নেওয়া উচিত। প্রতিদিন রাতে মুখ ধুয়ে ক্রিম লাগাতে হবে। চোখের নিচে কালি পড়ার অন্যতম কারণ হলো রোদ। গরমে তা আরও বেশি হয়। চোখের কালো দাগ দূর করার জন্য আন্ডার আই জেল বা ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
দিনের বেলা বাইরে বের হলে অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগাতে হবে। সানস্ক্রিন হিসেবে ক্রিম ব্যবহার না করতে চাইলে এসপিএফ ১৫ আছে, এমন ময়েশ্চারাইজার লাগাতে পারেন। ঘাম থেকে মুখে ময়লা জমে যায়। এ কারণে ব্যাগে ফেসিয়াল ওয়াপইস রাখুন। প্রয়োজনমতো মুছে নেবেন। বাসায় ফিরে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। সাত দিনে একবার স্ক্রাব ব্যবহার করতে হবে। তবে তৈলাক্ত ত্বকে শুধু ব্ল্যাক হেডস অথবা হোয়াইট হেডসের জায়গাটুকুতেই ব্যবহার করতে হবে। তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীদের গরমকালে কষ্ট হয় বেশি। তেলগ্রন্থিগুলো এ সময় সক্রিয় হয়ে ওঠার কারণে তেল বের হয় বেশি। তাঁরা মেডিকেটেড ফেইস ওয়াশ ব্যবহার করলে ভালো ফল পেতে পারেন। অ্যাস্ট্রিনজেন্ট লাগাতে পারেন। ক্রিমের মধ্যে তেলবিহীন ময়েশ্চারাইজার অথবা পানি বেশি আছে এমন ক্রিমই মানানসই এ ধরনের ত্বকে। প্রয়োজন হলে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
বাইরে ঘোরাঘুরি করলে চেহারায় কালচে ছোপ ছোপ পড়ে যায়। ত্বকে মানিয়ে গেলে টমেটোর রস, কমলালেবুর রস অথবা আলুর রস দিতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য শশার রস সবচেয়ে ভালো। নিয়মিত প্রতিদিন ব্যবহারে কালো ভাব দূর হয়ে যাবে।
এ সময়টা বেশি পরিমাণে শাকসবজি, সালাদ খেতে হবে। তৈলাক্ত খাবার যতটা সম্ভব বাদ দিতে হবে। বাইরে থেকে এসে হুট করে ঠান্ডা কিছু খাওয়া উচিত নয়।
রয়া মুনতাসীর
মডেল: নাবিলা
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুন ১৫, ২০১০
Leave a Reply