স্বাস্থ্যকর সম্পর্কই সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার সবচেয়ে বড় ‘মোটিভেশন’
বছরের শুরুতেই ইনস্টাগ্রামভিত্তিক মোটিভেশনবিষয়ক অনলাইন গণমাধ্যম উইনার স্পিরিট জানিয়েছে সুস্থ সম্পর্ক চর্চার বেশ কয়েকটি উপায়। যেগুলো অনুসরণ করে আপনি নিজেকে চলে যাওয়া বছর থেকে আরেকটু সুখী আর সম্পর্কে স্থিতিশীল হিসেবে তৈরি করতে পারেন। কী সেগুলো? জেনে নেওয়া যাক।
১. যেসব মানুষ আপনার সাফল্যে খুশি হন না বরং ঈর্ষা করেন, আপনার সম্পর্কে নেতিবাচকতা ছড়ান, আপনি আলাদা করে তাঁদের থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখবেন না। আপনি বরং যে মানুষ আপনার সবচেয়ে বড় ‘চিয়ারলিডার’, সেই সম্পর্কগুলোকে গুরুত্ব দিন। তাতে বাকিদের থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই নিজেকে সরিয়ে রাখা হবে। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক কোনো সম্পর্কগুলোকে কোনোভাবেই ‘টেকেন ফর গ্র্যান্টেড’ হিসেবে নেওয়ার সুযোগ নেই। দিন শেষে স্বাস্থ্যকর সম্পর্কই মানুষের সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার সবচেয়ে বড় ‘মোটিভেশন’।
২. তবে সম্পর্ক চর্চার ক্ষেত্রে দূরত্বও খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মাঝেমধ্যে দূরত্বই সম্পর্ককে নতুন মাত্রা দেয়। তাই প্রয়োজনে সামান্য বিরতি নেওয়া বা সম্পর্ককে ‘স্পেস দেওয়া’ জরুরি।
৩. প্রতিটি মানুষের জীবনে এ রকম দুই–একজন মানুষ জরুরি, যাঁদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনি পূর্ণ ভরসা করতে পারেন। আপনার যদি এখনো এ রকম কোনো মানুষ না থাকে, তাহলে খুঁজে বের করুন।
৪. একাধিক গবেষণা জানাচ্ছে, অফিসের কলিগদের ভেতর চা-কফির আড্ডা, গল্পগুজব করা, পেশাগত সম্পর্কের বাইরে বন্ধুত্ব তৈরি—এগুলো সবই আদতে অফিসের কর্মদক্ষতা ও কাজের মান বাড়ায়। অফিসের পরিবেশে এমনসব সম্পর্ক আপনার পেশগত উন্নয়নের জন্যও জরুরি।
৫. প্রতিটা সম্পর্কের যেমন একটা শুরু আছে, তেমন কিছু কিছু সম্পর্কের শেষও আছে। সম্পর্ক নিশ্চিতভাবে শেষ হয়ে যাচ্ছে জেনেও ওই সম্পর্কের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করবেন না। যতটা সম্ভব ইতিবাচকভাবে সম্পর্ক শেষ করুন। আপনার অবস্থান সততার সঙ্গে স্পষ্ট করুন। সম্পর্ক শেষ হয়ে যাবার পরও সম্মান বজায় রাখুন। ভালো স্মৃতি আর ওই সম্পর্ক থেকে পাওয়া শিক্ষাকে পুঁজি করে তুলে রাখুন।
Leave a Reply